গৃহনির্মাণ ও অন্যান্য চিন্তাসমূহ

ঘরে ছারপোকা
বাইরে হাতির জীবনী
নির্মীয়মাণ দিবস
নির্মিত রজনী
…………. আখেরুল হক
I can only do just a touch
Even an atom bomb
No statement is fake
As everything is a fictional truth
…………. Akherul Hoque
গৃহনির্মাণ ও অন্যান্য চিন্তাসমূহ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিবস এত ছোট যে রাত্রিতে বাড়ি বানাতে হল
আলোয় দাঁড়িয়ে মনে হয় আধাঁর কি অস্তিত্বশীল
কিন্তু অন্ধকারে আলোর প্রতি চিন্তার আগ্রহ বাড়ে
আরেকটি সূর্য আমার অন্তরে
টর্চের ফোকাস আপন মুখে ফেলে আশা জাগে নিজের প্রতি
কৌটোর টাকা ঢেলে গণনা করা হয় উল্লেখযোগ্য স্মৃতি
দুটো পেঁচা আর একটা পেঁচার খোঁজ করলে
জানবে রাত্রি ঘন হয়েছে
উপদেশে স্থিরতা কিন্তু খরচে তাড়া আছে
উল্লেখ্য এই ওয়াক্তে বিবদমান বহু হিসাব
তোমার ঘুমিয়ে-থাকায় নিহত অবসাদ
আমার অনুষ্ঠান সহজ করে দেয়
পিঁপড়ের শান্ত প্রতিভা
পাখপাখালির রণভঙ্গী নেই
মানুষের হাত স্থবিরতার দিকে
এবার আমি আয়ু পাবো
চড়াম করে পিঠে কেউ চাপড় মারবে,
চারটে দেয়াল একসাথে বেড়ে উঠতে চায়
এই প্রতিযোগিতা সিমেন্ট বালি পাথরের
অগণিত ফরমাশ, মধ্যমণি আমি
আমার মুখে বাঁশি
মেঝেতে চকচক করছে অক্ষর
বাক্যের প্রতিবন্ধকতা ঘুচাতে হবে
যে মনোযোগে উন্নত পুরুষ হওয়া যায়
গায়িকার সমতুল্য কন্ঠস্বর
আমার সবই দরকার
অথবা এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি
জানালাকে সবাই ভালোবেসে ফেলেছে
আমারও একটা জানালা থাক একটা জরুরি ছিটকিনি
সত্য মিথ্যার পার্থক্য প্রদানকারী আয়নাটা সর্বদা সামনে
ড্রেসিং টেবিল জগতের প্রাচু্র্যে ভরপুর
এই মনিপুরি চিরুনি পাহাড়দেশ থেকে আনা
একটা ঝিনুকের খোল আটলান্টিক মহাসাগরের সাক্ষী
চারটে দেয়াল একসাথে বেড়ে উঠবে
সান্নিধ্য ও সমতা বজায় রেখে
পরোপকারী সাইকেল ঈষৎ দূরত্বে হেলানো
পৃথিবীর অক্ষরেখার ওপর
আমার প্রস্তাব তারা মন্জুর করলো
কাঁধের সমান্তরালে নির্মিত হল ছাদ
আর ঘুলঘুলিতে জীবনের পরম বাতাস
একে একে নগর বন্দর পুষ্ট অ্যালভিওলাই
তোমার সবই দরকার
অথবা এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দরকার
অভিজ্ঞতা বারবার রিপিট হয়
জন্ম ও বিনাশের
প্রসঙ্গের ক্রম ভাঙে হঠাৎ বিপদের কালে
অর্জিত মাছ জলে ছেড়ে দিই
আনমনা মন লিখছে নাম বালিতে
চিনাবাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে গৃহদ্বারে হাজির
ডিসেম্বরের আট দশ তারিখ
সোয়েটার পরার আত্মবিশ্বাসে তুমি
আমায় ভুলিয়া যাইতে পারো
কেকটারে বিশ টুকরো করে
আমারে আর জোড়া লাগাইতে পারিবেন না
দিগন্তে ঝাঁপ দিল আমার ছাব্বিশটা চাকর
কলেরাম্যান ধুঁকছে পাঁচতলার হাসপাতালে
বাস্কেট বলের ঝুঁড়িটার প্রতি লক্ষ্য করুন
শূন্যতাকে বারংবার অতিক্রম করা হচ্ছে
একটি বলের দ্বারা আমি প্রেমিক হয়ে উঠছি,
সময়ের ব্যাপারটাই কেমন আছে নেই আছে নেই
গণনার যোগ্য কিন্তু ফাঁপা
সল্প সময়ের মধ্যে আমরা বেশি স্বপ্ন দেখে ফেলি
আর ঝগড়া বাঁধে একটা ঘুড়িকে নিয়ে
শুধু ডোবা ওঠা আসা খাওয়া যাওয়া
কোথাও ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকার ঘড়ি নেই
আমারা না গুনলেও সময় আমাদের গুনে নিচ্ছে ঠিকই
প্রতিটি সেকেন্ড একটা করে পিন মারার শব্দ ওঠে
যদি সময়কে পরিমাপ করা না যেত
তাহলে মানুষের নির্দিষ্ট কোনো দুঃখ থাকত না
অতীত ভাবলে বহুকিছু হতে পারতো
ভবিষ্যৎ কী হবে জানি না
আমার পরমাণু, পরমাণু বোমার প্রতি ঈর্ষান্বিত
অনুতাপ ও আড়ষ্টতা
ভুলেরা প্রায় একই রকম
অভিজ্ঞতা বারবার রিপিট হয়
শীতের সকালবেলায় তোমায় বহুকিছু বলে দেওয়া যায়
দিল্ খোলসা করে ঠোঁটের ভাপ জাগিয়ে
ধীরে ধীরে কুয়াশা উবে যাবে এই ভালোবাসায়
ঘরবাড়িগুলো রোদের ফর্সায় আলাদা নতুন
যা তোমার ভাবনার সঙ্গে মিলিত হয়
কৌতুহল সফলতা পেল নিজের বাড়ি চিনতে পেরে
বাড়ির মেইন গেট সাজানো ছিল
হ্যা , সাজসজ্জায় আমাদের অস্তিত্বের বয়ান
আকাশপথে তোমার গোলাপী লেহেঙ্গা দেখে
আমি উড়ে চললাম
বুধগ্রহ থেকে নামছে বিয়েবাড়ির সুসজ্জিত ট্যাক্সিটা
রঙ নিয়ে ইয়ার্কি নয়
রঙ মানুষের চোখের সুখের কারণ ওই রংধনু
মামার বাড়ির দেয়ালে আঁকা আছে
আমার বাড়ির দেয়ালও আঁকা হবে
বাচ্চারা আয় বন্ধ্যারা আয় উপভোগ কর
ডিম ভেঙে ওমলেট বানাবে
তবেই তারা কথা শুনবে কথা বলবে
আগুনের পাশে বসে মত বিনিময়
কড়াইটা উল্টে দিয়ে জীবন ও জগৎ বদলানোর কথা ভাবি
রান্নাঘর একটা যাদুঘর
কাটা আর পুড়া আর গড়া
এক লঙ্কার ঝাঁলে
ফেটে যায় প্লেনের টায়ার
ছোট্ট এলাচটাই ধরো , তার গন্ধ মাতানো
তার নিয়তি স্বাধীন একাকীত্ব বীজে লুকানো
লবঙ্গ দ্বারা জিভের চেতনা ফিরে
তেজপাতা সরল শুয়ে শুয়ে দিন কাটায়
পাঁচফোড়ন পাঁচ রকম মানসিকতার পরাগ
আমাদের একঘেয়েমি দূরভীত করে
কালোজিরা সর্বদা তাকানো চোখে চেয়ে
ঠক ঠক করে ডিম ভেঙে ওমলেট বানাবে
তবেই ভুতেরা ফিসফিস চারপাশ ঘিরে ধরবে
বাচ্চারা একটু বড় হয়েছে
কার্টুন দেখতে শিখেছে
তারা তাপ চিনতে পারছে
হাতের তালুতে তালু ঘষে ঘষে বিড়ালেরা খুশি
লাট্টু ঘোরে মনের জোরে
দেহ তাপে গেন্জী পুড়ে
বাচ্চারা সেয়ানা হইতেছে
শূন্যের প্রতি একনাগাড়ে কিছুক্ষণ তাকালে
রাগ কমে হতাশা ব্যথা কমে
কোনো কথা-না নিঝুম নিরস্ত্র টু-শব্দ না
যাতনা কঁকিয়ে উঠলে রুমালে মুখ চেপে ধর্
সুন্দর বরফটাকে গলতে দিও না,
তারা একসঙ্গে ক’টা চাঁদ দেখে
একটা আকাশে একটা জলে ভাসে
আর একটা খুঁজছে আর একটা খুঁজবে
যেটা জরুরি তা সত্বর দখল হাসিল করা জরুরি
কত যে ঘটনা কত যে সুজন মোটরসাইকেল
রয়্যাল এনফিল্ড কিনলে আর চিন্তা কিসের
তোমার লাইফ সেটল হয়ে গেল
গলাটা সর্বোচ্চ উঁচু করিয়ে দেখি
উটপাখির ডিম আমাদের চমক ও শান্তনা দেয়
আমরা সর্বদা যা কামনা ও মিনতি করি
যেখানে থাকো সুখে থাকো
এটি একটি রেডিওর বার্তা
অসুখের ঘোরে শুয়ে শুনি
কিংবা ঘুম থেকে জেগে
জ্ঞান ফিরে ঘড়ি দেখি
অনন্ত কাল কেটে গেল নাকি ,
এক গ্লাস জল
কে খাওয়াবি বল আমায়
কে খাওয়াবি বল
বাড়ি বানালে এইখানে
অথচ মনের রাজধানী কোলকাতায়
তোমার বাড়ি নাই
একদিন ভুগেছিলে কেমন পূর্ণিমা রাতে
চাঁদ এসে ছিল গোল ভাসানে তবু
খোলা ছাদে উঠে দেখার মহাকাশ নাই
রাস্তার কিনার ধরে হাঁটি থামি গড়িমসি করি
সারি সারি গাড়ি হেডল্যাম্পের আলো ধাক্কা মারে
আমার কুড়ি ভোল্টের চোখের পাওয়ারে
দূরে ছিটকে পড়ি আমার ব্লটিং পেপার পুড়ে
কুকুরের সত্যতা এই সে তোমায় একা পেয়ে কাঁমড়াবে
জড়িবুটি কোথা পাবো
একটা গামছা লুকানো থাকে পাগলের বগলে
সচারাচর পাগল কোথা পাব জরুরি সময়ে
আধ-খাওয়া পরটার কোণ , ধ্বজভঙ্গ মানুষজনের
আজও অধরা মাতারা মিস্টান্ন ভান্ডারের মাছি
এই থামুন আমাকে পিরিত করুন
ছাল চামড়ার ত্বকে জীবাণুরা চিকমিক হাগে
আমার জীবনে একজনও ভালো পুলিশ আছে
ভরসা রাখুন যতদিন জীবিত প্রাণে
নষ্টের একাংশ অক্ষত থাকে
গাঁদা ফুলের লজ্জা, ভুলের বাজারে
একদিন বাসর রাত একদা ঝুলে পড়ি মৃতের শরীরে
পচা গলা মরা মাছ গন্ধ ছড়ায় সারা রাত
যতক্ষণ না গায়ে ছড়ায় আতর প্রলাপ
ঘন্টা দশেক পিরিত হইতে সন্ন্যাস
ঘন্টা দশেক খাটহীন বাস্তব
এক পিঁপড়ার কামড়ে প্রভাত ফুটিল
নিভে গেল বৈদ্যুতিক আলো
যা যা টুপ টাপ খসে পড়ে তা আমার আঙুল
তোমাদের প্লেটে সুড়সুড় চলমান আঙুর
আবর্জনার শিখরে বসে বর্ষীয়ান কাক কই
তোমার যা হবে তোমার বন্ধুরও তাই হবে
সবকিছু ছেড়ে তোমায় চলে যেতে হবে
অন্য গ্রহে অন্য প্রচারে
তোমার যা হবে তোমার বন্ধুরও তাই হবে
নাগপুরের রাস্তায় কলমা লেবুর পিছে পিছে সরসে ছুটবে কত
নারিকেলের বাগানে তুমি ভিতরে নরম ওপরে শক্ত
টম্যাটোর সাথে তুমি স্বচ্ছ ও লাল
মুম্বাইে বন্দরে তুমি এক ফালি লাশ
একটা কক্ষেরও পাত্তা নেই তোমার নামের
যার যা হারায় এই বন্দরে ভেসে ওঠে
মুম্বাই তো যেতে হবে কোনো না কোনোদিন
কেউ কি বাড়িয়ে দিবে একখানা মশারির হাত
এই যে বাচ্চারা সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছায়
আমার তো বিয়েবাড়ি চিনতে মরণের উল্টো পথে হাঁটি
বুদ্ধির বিপরীতে স্মৃতি ভাবতে নিজেরে বোকা চাঁদ লাগে
মুম্বাই তো যাওয়া লাগবে এক না একদিন
টোকিও কিংবা বেজিং-এ ষাটতলা অট্টালিকার
একটা জানালার স্বপ্ন দেখেছিলে যেখানে বসে
প্লেনের পাইলটকে দেখা যাবে চোখে চোখ রেখে
সে সব তো মনে পড়তে থাকে
এই আটচালা ভেঙে বাড়ি বানাতে বানাতে
আবহাওয়ার অনুকরণে ছাদ
খসখসে ঢাল ধূসর সাদাটে রং
কাপড় মেলে-দেয়ার সে দড়ি একোণ থেকে ও কোণ
কর্ণ বরাবর ছোটাছুটি করি
একাকীত্ব ঘোচাতে যত পার টবগাছ
কিনারে কিনারে রোদের মুখে মুখে
পেছনে একটা ছোট দরজা থাকে আপৎকালীন
জেরুজালেমের প্যাটার্নের খোপ খোপ
একটার পর একটা ঘর চীনের প্রাচীরে বেষ্টিত
চিন্তার মদতে পুষ্ট নিরাপত্তা
এ-তোমার ব্যক্তিগত আইন পরিখা
তুমি বসবাস করবে মৃত্যুকে অনিশ্চিত জেনে
দেয়ালে পেরেক পোঁতা হল
বাৎসরিক ক্যালেন্ডার ঝুলবে
তোমার ব্যাবহারিক জীবন
একটা থাকছে উড়ন্ত দোলনা আর অফুরন্ত বাতাস
টয়লেটের দরজার ওপরে এক স্বয়ংক্রিয় বাতি
জ্বলে নিভে অপারেশন থিয়েটারের মতন
বৃষ্টির পাইপ দেয়ালের গা বেয়ে হাজির অরণ্যের বুকে
পুকুর ঘাঁটে নেমে গেছে যে সিঁড়ি পাতালের দিকে যে সিঁড়ির শেষ নেই
জেলখানার সাথে তোমার তফাৎ বোঝাতে
কার না বাড়ির প্রয়োজন
হকিংসের কুকারে বুকভরা ভাত
বাটিতে অনন্যোপায় কই মাছ
আনন্দ ছাড়া বাসগাড়ির শূন্যতা অনুভব করি
এই সেই বাড়ি আনন্দের গাড়ি ছুটে চলে দেশ দেশান্তরী
দূর যে কত দূর তা
ভাবনার বাইরে
ভাবনার চেয়ে দূর
যত বড় হয় তত দূরে নজর নিক্ষেপ ঘটে
একদিন প্লুটো গ্রহরে কোলে পেয়ে যাবো যাকে
বামন বলে কত ভালোবাসি
ওই উড়োজাহাজ অবধি সহিষ্ণুতা
যতটুকু ঘুম অতটুকু আমাদের টিকে থাকা
আমার বিশ্বাসকে মনের সেই গাড় সিদ্ধান্তকে
কোনোদিন বোঝাতে পারলাম না যে
ওই এক ফুট মাপের জাহাজের ভিতর
দু’শর অধিক মানুষ বসে আপনজনের কথা ভাবছে
অথচ মানুষ কীভাবে আকাশে ওড়ে
যা আমরা সকলেই প্রত্যাশা করি
ভূমিকম্প বিহীন মেঘবাহু ছুঁয়ে ছুঁয়ে
প্লেনের ভিতর সূক্ষ্ণ নিয়ন্ত্রণে
সিটবেল্ট বেঁধে চিৎকারহীন ভালোমানুষ
পাপহীন সমাজে প্লেন ওড়ে
কোনো সৃষ্টি আমার হাতে নেই
যে তোমায় সাজাবো
এবং একটিবারও কেউ বলেনি
“তোমার সব আছে”
সুন্দর হারিয়ে যাওয়া মানে
সুন্দরের লজ্জা হারিয়ে যাওয়া
সাবান সৃষ্ট হয়েছে , তুমি যে সমুদ্রের ফেনা ধরতে চাও
সারা গায়ে মাখতে চাও
প্রতীক্ষা পরিমাপের জন্য ঘড়ির আবিষ্কার
হাতে হাত রেখে স্পর্শের উদ্ভাবন নাড়ীর স্পন্দন
টিপটিপ ছন্দ বলয়ঃ
ভালো আছি মন্দ আছি
মন্দ আছি ভালো আছি
ভালো আছি ভালো আছি
মন্দ আছি মন্দ আছি
থার্মোমিটারে দেহের রক্ত পুড়ছে
ভুল কত সূক্ষ্ণ হতে পারে তার জন্য
অণুবীক্ষণ যন্ত্র
মন্দ লোকের ফাঁদে পড়ে তোমার অবস্থা কেরাসিন
কবিতারা না থাকলে বুঝতেই পারতাম না
রমণীর ঢেউ চুলে প্রজাপতি দুলে
মানুষের হাসি , যাদু মোহন বাঁশি
ব্যর্থতা সুন্দর যখন তুমি গুম মেরে বসা আছো
গুবরে পোকা গোবরের গোলাবারুদ গড়িয়ে গড়িয়ে হাঁটা দেয়
চোখের সম্মুখে দলবেঁধে ময়ূর ময়ূরী ঘোরাঘুরি
তাদের প্রাণের ময়ূর ভাবতে পারি
চাল-খুদ ছড়াতে ছড়াতে কখন ঘুমিয়ে পড়বো
তোমরা আমায় নতুন জামা পরিয়ে দিও
আমার হাতে কোনো সৃষ্টি নেই
হাতপাখা ঘোরাতে ঘোরাতে আমাদের
মরে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কাজ নেই
শীতের বিকেলবেলা গর্জে ওঠে গাজর
কমলা রং ফুলিয়ে সে লক্ষ্যবস্তু হতে চায়
ধনাত্মক আধানে কাঁপে চুল
ভুলেযাওয়া রুমাল ভাসে আশেপাশের পুকুরে
বরফের সাদা আশ্বাস — “আমি বরফ জমি
তুমিও আমার সাথে জমো”
টয় ট্রেনে শিশুরা সূর্যের কাছাকাছি
লোভাতুর দিন গাজরদের চেঁবানো
গরম বাদাম ঠোঁটে কাকেরা পণ্ডিত
গাছের ছায়ার তলায় সবার প্রতীক্ষালয়
কাউরে ছাতা উপহারে আপন বানাইবো
কাউরে ঘড়ি উপহারে সহচর বানাইবো
কাউরে গোলাপ উপহারে মনের মানুষ বানাইবো
জাহাজে যারা উড়ে বেড়ায় তারা আমাদের
প্রিয় কবি সবুজ সাথি ঘাসবেলার
পায়ের বুড়ো আঙুল হতে রাত্রির মশারি উঠে আসে
জোঁকেরা লাজুক কাকতাড়ুয়া লাজুক
কখনো তাদের দেখি কখনো দেখি না
কখন যেন তারা ছুঁয়ে দেয় আমাদের বিরক্ত না করেই
শব্দের প্রতিক্রিয়াই কবিত্ব অথবা ঘৃণার জন্ম দেয়
শব্দ কারখানা আছে বলে শিশু লুকায় মায়ের কোলে
দু’কানে আঙুল চেপে ধরে শব্দ শূন্য হও
এই চলমান ইস্পাতের দৈত্য শকটকেও
খেলনাগাড়ি মনে হবে
বোবার প্রেম বোবা
আওয়াজ তুললে প্রেম হয় বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না
গাছের ঘাড় মটকাবে সেই কটমট রব
মেঝেতে খনখন কাচের গ্লাসের চুরমার ধ্বনি
আরো কিছু পরমাণু ভাঙা হবে শব্দ তৈরি হবে
দ্বিধা জাড্য অব্যাহত
কে রঙিন খুনি কে সোনার লোক
হাড়ের বক্রতা মাংসের স্থূলতা মননের শূন্যতা
আপন ওজন মাপার ক্ষেত্রে
একটা তিল যথেষ্ট
তোমার বিদ্যালয় বিছানা অপর মানুষের সহায়তায়
গড়ে উঠছে মূহুর্মূহ খরগোশের ব্যস্ততা
সামাল দিতে তুমি মনস্তাত্ত্বিক
একটি সুপেয় জলের সন্ধান করছো
একসঙ্গে তোমায় অনেকগুলি কাজ করতে হবে
একা স্বাধীন মানবহীন কোনো স্থানে বা স্থানের
বাইরে তুমি আপাতত বিরাজমান নও
স্থান শূন্য হওয়া সম্ভব যেমন বস্তুর মৃত্যু রয়েছে
দেহের ভৌতিক বিনাশ না হয় অনুভূত হল
কিন্তু আনন্দ আশা বিজয় হতাশা পাপ পুন্য
স্বপ্ন শিক্ষা স্মৃতির চিন্তার বইখানার কী হয়
কোনো অস্থানিক জায়গায় রয়ে যায়
জন্মের পূর্বেও তুমি কোথাও ছিলে ,
এখানে একজন আর একজনের মেজাজে জারিত
সীমালঙ্ঘন করা চলবে না মনের মেজাজ ও
পকেটের চিরুনি হারানো উচিৎ নয়
সৌন্দর্য নিজের আয়ত্তে
তোমায় পালকিতে বসাবো কিন্তু বেয়ারা কই ,আসুক
দেরি হচ্ছে কেন , নিশ্চয় কীসের অভাব
ঈষানে মেঘের উদয় ,বালক ত্যজিল ক্রীড়াভূম
আমার বাড়ি অনেক দূর
এই সব বিবিধ তোড়জোড়
ক্ষত বাড়লে ফুটো বাড়ে
ফুটো বাড়তে বাড়তে দূরবীন হয়ে যায়
আমার বাড়ি মেলা দূর
আর বাড়ির বাহিরে
জীবন্ত শশা ছিলে নুন-মরিচ ছিটানো হয়
আর শরীরের বাহিরে
মরার দেহের পোশাক খুলে জীবনে বিক্রি হয়
পার্থিবতা আচানক ভয়
হঠাৎ টেবিলফ্যানের পাখা ঘুরে উঠলো মাথার পাশে
আর তোমার আমার মুখোমুখি দেখা
আমি চেয়ে ফেলি ছিঁটেফোঁটা ভালোবাসা
আর তুমি চেয়ে বসো অনন্তকালের ভবিষ্যৎ
জ্ঞান হারানোর আগে একটি সূচের জীবনও মহাজীবন
কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে তোমাকে
বেঁচে থাকতেই হবে, সুখ-দুঃখ সৃষ্টি করতে হবে
জ্ঞানবান হতে হবে বড়লোক হতে হবে
গাছের গোড়ায় গোড়ায় জল ঢালতে হবে
মোড়ের মাথায় মিষ্টি বিতরণ করতে থাকবে
ঘুম থেকে উঠে একবার আয়না দেখবে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার আয়না দেখবে
এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আইন নেই,
আমরা কখনো মৃত্যুর সময়ে স্বপ্ন দেখি না
আর আত্মহত্যার টাইমে শুধু শ্বাসটুকু জীবন মনে করি
আখেরুল হক
- আখেরুল হক-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 377

m.c. 2 সপ্তাহ 4 দিন আগে
Fabulosa
রেবেকা 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
ইউনিক
susanta 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
একটানা পাঠ করতেই হল, অদ্ভুত!
রুকু 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
আরো হোক, আরো হোক
রুকু 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
এই ধরণের কবিতা পাঠ মানে মাল্টিফসেটেড এক্সপিরিয়েন্সের মধ্যে দিয়ে যাওয়া - তাতে নিমজ্জমান হওয়া
সৈয়দ মুনসিফ আলী 1 দিন 11 ঘন্টা আগে
অনন্য চিন্তাসমূহ
সৈয়দ মুনসিফ আলী 1 দিন 11 ঘন্টা আগে
আপনার কবিতার বই পড়তে আগ্রহী
নতুন মন্তব্য পাঠান