এখানে মানুষ মাপে
hiya
বুধ, ২০২৫-০৩-০৫ ১৭:২২

এখানে মানুষ মাপে মানুষের সাধ্যের জল
রসাতল
উঠে আসে বুকের ওপর দিয়ে ছলকিয়ে যায়
অসাধ্যের ঘাড় নাড়া কষ্টার্জিত ধৈর্য্য - যত উপার্জন
অযুত রক্ত নিস্ফল
কেন যে কে জানে কেন তবুও তো জলে জলে লেখা হয়
সভ্যতার জ্বলে যাওয়া খুচরো ভবিষ্যৎ -
লোভাতুর জিহ্বার মতো লোলজিহ্ব নেহাতই বেহায়া এক
মানুষের দ্যূতক্রীড়া - ধরনী দ্বিধা হও - অতঃপর বহুধা হলে -
পৃথিবীর অভ্যন্তরে নাকি দগদগে লোভের লাভায়
গনগনে, জ্বালানলে কে যে সেঁকে নেয় নিজস্ব রুটি -
যত ত্রুটি আমাদের - আমাদের ওগো, ক্ষমা করো -
লুটে নাও যা আছে - রেখোনা গো কিছু - শুধু
লজ্জাবস্ত্রটুকু রেখে দিও, অঙ্গে - তোমাদের, হে মানুষ, হে মানুষ-
কেননা মানুষই মাপে মানুষের সাধ্যের জল
রসাতল
উঠে আসে বুকের ওপর দিয়ে
ছলকিয়ে যায় -
অন্ধ এক অন্ধকার
কালো কোন জলের অতল !
__________________
কিছু না
- hiya-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 283

ঝর্না 10 সপ্তাহ 1 দিন আগে
খুব ভালো লিখেছেন হিয়া। অগাথ এক সত্য।
পড়তে গিয়ে, বেশ কয়েক জায়গার মিল অবাক করল - যেমন জলে/জ্বলে, রুটি/ত্রুটি
যত্নে লেখা। ভালোলাগা তাই দ্বিগুণ।
ভালো থাকবেন।
ASIT KUMAR ROY 10 সপ্তাহ 1 দিন আগে
আগুন আগুন
একমাত্র আগুনই পারে সব পুড়িয়ে ছাই করতে।
জল জল
জল সেও পারে পাপ পুণ্য মান অভিমান জুড়াতে।
মাটি মাটি
মাটিও অসীম অনন্ত ধৈর্য রাখে সব মিলাতে
বাতাস বাতাস
দোলাচলে পারে জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
শুন্যতা শুন্যতা
নিঃসীম শূন্যতা রয় অপেক্ষায় সৃষ্টির খবর রাখতে।
পৃথিবীর গোপনঘরে কারা যেন অস্ত্র মজুত করে
জলের ধারা স্বচ্ছতা হারিয়ে অভিমানে মরে
তেজদীপ্ত শরীরে স্বার্থের কালিতে কালিমালিপ্ত
বাতাসের কণায় কণায় বারুদের বিষের মরন ফাঁদ
শুন্যতা সৃষ্টি আর ধ্বংসের স্থিতিস্থাপকতায় নতমস্তক।
m.c. 9 সপ্তাহ 4 দিন আগে
Superb
এনা 9 সপ্তাহ 3 দিন আগে
‘সভ্যতার জ্বলে যাওয়া খুচরো ভবিষ্যৎ’
খুব সত্যি কথা বটে
এনা 9 সপ্তাহ 3 দিন আগে
মুশকিল হচ্ছে, কি ভালোলাগবে, কাকে ভালো লাগাব
শুভস্মিতা কুন্ডু 9 সপ্তাহ 3 দিন আগে
হিয়াদা, পড়তে অনেক অনেক ভাল লাগল
ঐশী 9 সপ্তাহ 3 দিন আগে
যত ত্রুটি আমাদের - আমাদের ওগো, ক্ষমা করো
ত্রুটি যদি অনিচ্ছাকৃত হয়, তবে তা ক্ষমার্হ
ঐশী 9 সপ্তাহ 3 দিন আগে
‘পৃথিবীর অভ্যন্তরে নাকি দগদগে লোভের লাভায়
গনগনে, জ্বালানলে কে যে সেঁকে নেয় নিজস্ব রুটি -’
চমৎকার লাইন, চমৎকার কবিতা
শম্য 9 সপ্তাহ 2 দিন আগে
ম্যাচিওর লেখা, স্বাভাবিক পাঠতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত করেনা
শম্য 9 সপ্তাহ 2 দিন আগে
‘কেননা মানুষই মাপে মানুষের সাধ্যের জল’
এইটা পড়ে রবি-কবির কিছু লাইন মনে পড়ছে, যেমন -
‘‘মানুষের একটা দিক আছে যেখানে বিষয়বুদ্ধি নিয়ে সে আপন সিদ্ধি খোঁজে। সেইখানে আপন ব্যক্তিগত জীবনযাত্রানির্বাহে তার জ্ঞান, তার কর্ম, তার রচনাশক্তি একান্ত ব্যাপৃত। সেখানে সে জীবরূপে বাঁচতে চায়।
কিন্তু মানুষের আর-একটা দিক আছে যা এই ব্যক্তিগত বৈষয়িকতার বাইরে। সেখানে জীবনযাত্রার আদর্শে যাকে বলি ক্ষতি তাই লাভ, যাকে বলি মৃত্যু সেই অমরতা। সেখানে বর্তমান কালের জন্যে বস্তু সংগ্রহ করার চেয়ে অনিশ্চিত কালের উদ্দেশে আত্মত্যাগ করার মূল্য বেশি। সেখানে জ্ঞান উপস্থিত-প্রয়োজনের সীমা পেরিয়ে যায়, কর্ম স্বার্থের প্রবর্তনাকে অস্বীকার করে। সেখানে আপন স্বতন্ত্র জীবনের চেয়ে যে বড়ো জীবন সেই জীবনে মানুষ বাঁচতে চায়।’’
হিয়া রাজা 9 সপ্তাহ 22 ঘন্টা আগে
সবাইকে অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য পাঠান