তোমাদের শহরে

তোমাদের শহরে কারা কাঁদে?
বিবর্ণ সুজনীর কাজ করা টেবিলক্লথে
কাদের ক্ষত গভীর থেকে গভীরতর হয়?
কাদের বালিশ হারায় পথ মিনিবাস ভিড়ে?
কিছু ভগ্নপ্রায় খড়খড়ি জালনার আড়াল থেকে
কারা চেয়ে থাকে ভাসানের উদ্দাম নাচের দিকে?
কাদের দৃষ্টি দীর্ঘশ্বাস হয়ে মিশে যায় শহুরে বাতাসে?
তোমাদের প্রবল উদযাপন,
(একাকিত্বের, মধ্যবিত্তের, আনুগত্যের)
দেখে কারা হাসে?
কারা জাদুঘর দ্যাখে বৎসরের প্রথম দিনে,
ভেসে যায় তোমাদের প্রিন্সেপ গাঙে?
তোমাদের চিরস্থায়ীত্বের বিশ্বাসে ব্যাঙ্গ করে,
উচ্চকিত টোটো রিকশায় সওয়ার হয়ে কারা চলে যায়?
কারা উদাসীন তোমাদের সশব্যস্ত শহরে?
কারা তোমাদের ফুটপাথে দাগ টেনে বাঘবন্দি খেলে?
কারা আনমনে উলঙ্গ হয়ে হেঁটে যায় তোমাদের লেন, আভেনিউ, রোড, সরনীতে?
কারা একা একা দৈত কণ্ঠে গান গায় ঝোলা ব্যালকনির ছায়ায় বসে?
কাদের চোখ দেখে ফেলে তোমাদের শহরের ক্ষয়ে যাওয়া, কড়ি বরগার ধ্বসে যাওয়ার ভবিষ্যৎ দৃশ্য?
- শ্রীহরি গলগ্রহ-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 257

m.c. 1 সপ্তাহ 6 দিন আগে
Fabulosa! Superb!
ঝর্না 1 সপ্তাহ 4 দিন আগে
দারুন
la pata 6 দিন 19 ঘন্টা আগে
darun
এনা 6 দিন 18 ঘন্টা আগে
আপনার ভাবনাজালে জড়িয়ে পড়লাম
এনা 6 দিন 18 ঘন্টা আগে
আপনার তরফে এই কারারা কারা হরিদা?
শুভস্মিতা কুন্ডু 6 দিন 16 ঘন্টা আগে
কবিতায় পড়া একটি লাইন মনে পড়ছে -
ছায়া ছায়া কত ব্যথা ঘুরে ধরাধামে
আপনার কবিতাটি মনে কোনো অদৃশ্য অনুরণন রেখে গেল
পড়তে ভাল লাগল
kalyan 6 দিন 15 ঘন্টা আগে
চমৎকার লিখেছেন
লেখার মধ্যে মেধা ও মননের দ্যুতি নজর এড়ায় না
ঐশী 6 দিন 15 ঘন্টা আগে
কবিতার আবহ, মুড, জিজ্ঞাসাগুলি আর নস্টালজিয়া আর সবকিছু অসামান্য লাগল, এরকম কবিতা বারবার পড়তে মন চায়
উত্তর হিসাবে একটা কবিতা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে
কবি ফারহান নূর শান্ত
‘‘তুমি কি ডাকনাম পাল্টে ফেলেছ?
বাড়ির ঠিকানা, কি একলা সিঁড়ি ঘর - বারান্দায় দাঁড়ানো।
তোমার ভেতরকার শহরের পিচঢালা পথ কি
গিয়ে মিশেছে অন্ধকারে?
যেখানে মধ্যবয়সী কোনো যুবক তার প্রেমিকাকে
ল্যাম্পপোস্টের গা ঘেঁষে দাঁড় করিয়ে চুমু খায়।
তুমি কি সেই অন্য দেশ ?
যার রাজধানী পাল্টে ফেলেছ।
যেখানে যুদ্ধ লেগে যায় বাঁচার জন্য
অধিকারের জন্য।
যেখানে মানুষ কলম তোলে কথার ঝড় পাতায়
ওঠানোর জন্য,
একশ একটা কবিতা, উপন্যাস, শিরোনাম জুড়ে বেঁচে
থাকার কথা লিখতে শুরু করে।
তুমি কি বদ্ধ গ্রাম?
যেখানে তোমার আমার শৈশব, ছুটোছুটি
দুরন্তপনা ছিলো।
কাদা মাখামাখি বর্ষায় পা পিছলে হোচট খাওয়া।
সর্পিল রেললাইনে দুজন দুজনের হাত ধরে হেটে
কত পথ ফুরিয়েছিলাম, মনে আছে?
সে গ্রামে ছোট্ট মাটির ঘরে দাঁড়াতাম, ঝড় এলে।
তুমি কি নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি?
সন্ধান চাই, সন্ধান চাই - বলে খোঁজার তাড়না।
হারানো কাউকে খুঁজে দেবার বিনিময়ে অর্থের লোভ দেখানো,
বদ্ধ উন্মাদ আমাকে খোঁজা,
আমার ছায়া,লেখার খাতা, ভাঙা চশমা
অসম্পাদিত কবিতাগুলো যে ডায়েরিতে লেখা
সে ডায়েরির সন্ধান করা।
তুমি কি সেই অন্ধ চোখ?
যার মনুষ্যত্ব বিবেক চোখের পর্দার আড়ালে চলে যায়।
যে বুঝতে চায় না অভিমানের মানে,
মুখ ফিরিয়ে থাকার অর্থ।
যে চোখ অন্ধকারের গভীরতা মাপতে পারে,
যে চোখ জানে নরকের জ্বালা যন্ত্রণা রঙিন পৃথিবীর কাছে
কতটা তুচ্ছ, বেকার।
তুমি কি সেই পাষাণ হৃদয়?
যে হৃদয়ে ভালোবাসা থাকলেও, তা প্রকাশ করতে চাইবার
ইচ্ছেটা মৃত করে দিয়েছে।
যে হৃদয় জানে বিচ্ছেদের কষ্ট,
জড়ানোতে ভয়,দুর্বলতা, বায়নার বারন মানতে কষ্ট হয়।
যে হৃদয়ে ক্ষরণ হয়, নিজেই সহ্য করে নাও সেসব
বুঝতে না দিয়ে পুরো পৃথিবীর কাছে তুমি হাসতে থাকো।’’
- ফারহান নূর শান্ত
শম্য 5 দিন 21 ঘন্টা আগে
মেধাদৃপ্ত কম্পোজিশন!
শম্য 5 দিন 21 ঘন্টা আগে
বলা বাহুল্য, পড়ে আনন্দ পেলাম, মানে পাঠের আনন্দ
কবিতাটি নানা অন্তর্লীন জিজ্ঞাসাকে উসকে দেয়
‘কারা একা একা দৈত কণ্ঠে গান গায় ঝোলা ব্যালকনির ছায়ায় বসে?’
খুব ভাল লাগল
দৈত বলতে খুব সম্ভবতঃ ‘দ্বৈত’ বুঝিয়েছেন
রুকু 2 দিন 38 মি আগে
দুর্দান্ত লাগল
আরো চাই
নতুন মন্তব্য পাঠান