টুকরো কিছু রোদ্দুর

- অসিত কুমার রায় (রক্তিম)
অনেক দিন পর আজ উঠে দাঁড়িয়েছে আকাশ
ছোট্টবেলা প্রথম হাঁটি হাঁটি পা ফেলার মতন
মনে হোল একফালি চনমনে রোদ্দুর
জাঁকিয়ে বসল ওর মনের লাল রকে।
তারপর...
টুকরো টুকরো রোদ্দুরে ছড়িয়ে আছে
নানান স্বাদের নানান রূপে নানা গল্প নিয়ে
বুকের মাঝে খড়খড়ি জানলা খুলে দিতেই
উদ্ভাসিত বাতাসে মাথার চুলে বাতাস লাগে
অবাক চোখে চেয়ে হাত বাড়িয়ে রোদ্দুর
ধরতে ইচ্ছ হোল।
তারপর...
কিছু রোদ্দুর চলকে উঠলো চোখের সামনে;
দোলনা চড়া দোলার মতন দুলতে দুলতে এলো
চন্দ্রিমার মুখে সাদা রোদ্দুর হাসি ঝিলিক দিচ্ছে;
আকাশের চোখে শরতের আগমনী তৃপ্তি।
তারপর...
সব্বাইকে লুকিয়ে রোদ্দুর উঠে গেল চিলেকোঠায়
ওখানে রোদ্দুরের জন্য শিউলি ছিল অপেক্ষায়
শিউলি দরজা খুলল না কথাও বললনা;
রোদ্দুর কুড়িয়ে আনা ফুলগুলো দরজায়
রেখে এলো বিষণ্ণ ছায়া মুখে।
তারপর...
বাগানের এককোণে তমাল গাছের অন্ধকারে
সবুজ পাতার ভিড় সরিয়ে রোদ্দুর এলো;
তখনই অনড় ছোট্ট পুঁটলিটা নড়ে উঠলো।
ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ কান্না ভেসে এলো;
এযে দেখি ফুটফুটে একরত্তি
সোনা রোদ্দুর
তারপর...
কার আনন্দধন কার বাড়িতে যাবে? কে জানে!
শুনে মিত্র গিন্নী ছুটে এলো খ্যাপা বাঘিনী যেন।
বুকে তুলে নেয় সেই অবহেলা রোদ্দুর।
দুচোখে তাঁর অনর্গল অশ্রু ঝরে।
মায়ের মন অবুঝ নদী,
নিয়মের ধার ধারেনা।
সে যে ছিল সন্তানহীনা
এখন সন্তান সুখ খুঁজে পায়।
কিংশুক 3 সপ্তাহ 10 ঘন্টা আগে
‘‘কার আনন্দধন কার বাড়িতে যাবে?’’
ASIT KUMAR ROY 2 সপ্তাহ 5 দিন আগে
থেমে যেতে বলেছিলে, একটু দাঁড়িয়ে যাও সঙ্গে নিয়ে যাও। আমার এই বনবিলাসি সাথে করে। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম হাসিমুখে নেব বলে দুহাত ভরে। এসেছে অতিথি আমার ঘরে, দুদিন পরে অতি যত্ন করে অন্য পাত্রে ধরে, রেখে দিলাম আঁধার ঘরে। কি জানি কি হল জানিনা তার খবর আর পেলাম না। শঙ্কা হল বুঝি হারিয়ে গেল ভুল ভেবেছিলাম। ডিসেম্বরের অতিথি ফেব্রুয়ারিতে জানান দিল, আছি আছি বেঁচে আছি ফুল ভরে দিল আমার অন্তর ভরে। রহস্য করে স্বহাস্য বদনে বলে উঠলো দেখতো চিনতে পারো কিনা? কি নাম আমি জানিনা নাম বলে দিও। আমি রেখেছি অনামিকা
নতুন মন্তব্য পাঠান