অটবী -৬

অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশের কথা মনে থাকলেও মনে থাকে না উচ্চতার কথা। এই অট্টালিকায় পৌঁছোয় না বৃংহণ, অথচ দেখতে পাই মানুষকে, মহীরুহহীন শহরের রোদে বসে তারা নিঃশ্বাস নেয় প্রাণ ভরে। কল্পনা করে এই বায়ু আপেক্ষিকভাবে পবিত্র। অথচ অর্জুন ছায়ায় বসেও মৃত্যুভাবনায় জর্জরিত থাকি। এই বহুতলে বসেও দিগন্ত দেখতে পাই না স্পষ্ট। অথচ মাঘের পেলব সকালগুলিতে ওয়াচটাওয়ার থেকে দেখেছি দিগন্তের অনতিদূরে ধূলি উড়ে যায় ময়ূরের মায়াউড়ানের। দেখতে পাই সম্মুখ-দৃষ্টিহীন খগ উড়ে যায় একটি আদিম পৃথিবীর ভ্রমে। সে পৃথিবীতে নেই ইলেক্ট্রিকের তার, সে পৃথিবীতে দ্রিমদ্রিম শব্দ হয় না ধানক্ষেতের মাঝে অপাংক্তেয়র মতো দাঁড়িয়ে থাকা হাইটেনশান স্তম্ভের নিচে।
মনে হয় এই পাখিও সেই মানুষের মতো যে এ.কিউ.আই বোঝে না। শিল্পধূম্রের পাদদেশে বসে ধ্যান করে অক্সিজেনের। টের পায় ধমনীতে তাজা লোহিত কণিকার। এই ভ্রম আমাদের পৃথিবীকে আদরের করে তোলে। একই বেসিন দিয়ে প্রবাহিত হয় শ্লেষ্মা ও উত্সেচকেরা। এই ভ্রম আমাদের অটবীকে প্রাঞ্জল করে তোলে। ঝোপের আড়ালের নড়ে ওঠা শার্দুল ও হরিণ আমাদের ট্রাই-ক্রোমাটিক দৃষ্টিতে শিহরিত হয়ে ওঠে।
- sutanuti-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 220

হলুদ 3 সপ্তাহ 3 দিন আগে
অনবদ্য অটবী
m.c. 3 সপ্তাহ 2 দিন আগে
Superb
সাইরেন 3 সপ্তাহ 10 ঘন্টা আগে
‘একই বেসিন দিয়ে প্রবাহিত হয় শ্লেষ্মা ও উত্সেচকেরা।’
গা শিউরে উঠল যেন
এরকম অবজার্ভেশান বঙ্গকবিতায় বিরল
নাকি বিরতলম?
জানিনা, তবে সব মিলিয়ে আনোখা ভাল লাগল
মল্লিকা রায় 6 দিন 41 মি আগে
পৃথিবীতে দ্রিমদ্রিম শব্দ হয় না ধানক্ষেতের মাঝে অপাংক্তেয়র মতো দাঁড়িয়ে থাকা হাইটেনশান স্তম্ভের নিচে।
মনে হয় এই পাখিও সেই মানুষের মতো যে এ.কিউ.আই বোঝে না। শিল্পধূম্রের পাদদেশে বসে ধ্যান করে অক্সিজেনের। টের পায় ধমনীতে তাজা লোহিত কণিকার। এই ভ্রম আমাদের পৃথিবীকে আদরের করে তোলে। একই বেসিন দিয়ে প্রবাহিত হয় শ্লেষ্মা ও উত্সেচকেরা। এই ভ্রম আমাদের অটবীকে প্রাঞ্জল করে তোলে। ঝোপের আড়ালের নড়ে ওঠা শার্দুল ও হরিণ আমাদের ট্রাই-ক্রোমাটিক দৃষ্টিতে শিহরিত হয়ে ওঠে।
অনবদ্য লেখনী পড়ে ফেললাম এক নি:শ্বাসে।
মল্লিকা রায়/Mallika Roy.
মল্লিকা রায় 6 দিন 41 মি আগে
পৃথিবীতে দ্রিমদ্রিম শব্দ হয় না ধানক্ষেতের মাঝে অপাংক্তেয়র মতো দাঁড়িয়ে থাকা হাইটেনশান স্তম্ভের নিচে।
মনে হয় এই পাখিও সেই মানুষের মতো যে এ.কিউ.আই বোঝে না। শিল্পধূম্রের পাদদেশে বসে ধ্যান করে অক্সিজেনের। টের পায় ধমনীতে তাজা লোহিত কণিকার। এই ভ্রম আমাদের পৃথিবীকে আদরের করে তোলে। একই বেসিন দিয়ে প্রবাহিত হয় শ্লেষ্মা ও উত্সেচকেরা। এই ভ্রম আমাদের অটবীকে প্রাঞ্জল করে তোলে। ঝোপের আড়ালের নড়ে ওঠা শার্দুল ও হরিণ আমাদের ট্রাই-ক্রোমাটিক দৃষ্টিতে শিহরিত হয়ে ওঠে।
অনবদ্য লেখনী পড়ে ফেললাম এক নি:শ্বাসে।
নতুন মন্তব্য পাঠান