বইমেলা ৩০২৫

ফাতেমা
নিহত রোবটের পাশে পুষ্পগুচ্ছ রেখে আসি
ডিপসিকসঞ্জাত নিরুদ্বেগ ফুল
কিছুটা বোহেমিয় পাপড়ি তার, কিছুটা অচিন
মানবের ঘ্রাণ, বইমেলা জুড়ে সার সার সমাধি
রি প যত একদা উদ্ভিন্ন কবিতার বই
নিরাকার প্রকাশের পাশে, রেশমী কাঁকনমায়ার
অবিন্যস্ত স্মৃতি - গান নেই কোনো, স্তব্ধ
হরফেরা তৃণভোজী প্রাণী হয়ে চলে গেছে
কোন্ চরাচরে, পৃথিবীর অকাল কাশের শুভ্র নিয়ে
ভিন গ্রহে যাই, যে পুরুষকে প্রিয়তম বলা যেত
আদিম সাঁঝের নীল লগনে, সেও তো বসে আছে
উচাটন গ্যালাক্সির দহে, রোবোটিক আশিয়ানা তার
নিহত বয়ানে -
হিয়া রাজা 1 সপ্তাহ 6 দিন আগে
কি বলব! অসাধারন এক অনুভবের শরিক করলেন!
"যারা ডেকে গেছে দিনের প্রারম্ভে
যারা গেছে ভেসে
সন্ধ্যাকাশে
তাদের অশ্রুত কথা বিছানো আকাশজুড়ে,
কবেকার ভুলে যাওয়া সুরে,
কি করে যে ভিড় করে আসে
চেতনে অঝোরে
অদ্ভুত বৃষ্টির মত সিক্ত করে,
ভালবাসে,
ভেঙে যাওয়া পৃথিবীর আলো স্বপ্ন তো দেখায়
চেনা অক্ষরের ঘ্রাণে অচেনা আরম্ভে,
স্মিত ভালবাসা ভালবাসার গল্প বলে, যারা ডেকে গেছে দিনের প্রারম্ভে।"
মাপ চাইছি, এভাবে কবিতায় মন্তব্যের জন্য। আসলে আপনার কবিতাটা আমাকে অদ্ভুত এক নস্টালজিয়ার শরিক করল !
ফাতেমা 1 সপ্তাহ 5 দিন আগে
‘‘যারা ডেকে গেছে দিনের প্রারম্ভে
যারা গেছে ভেসে
সন্ধ্যাকাশে
তাদের অশ্রুত কথা বিছানো আকাশজুড়ে - ’’
উদ্ধৃত অংশ মন-কেমনিয়া, মুগ্ধতার আর বিষণ্ণতার যাদুকরী রেশ রেখে গেল, পুরোটাই দিন না
আজ তুষার রায় পড়ছিলাম, দেখুন তো কেমন লাগল
সকলেই নেমে যায় নীচে, বিখ্যাত পাকদণ্ডী রেলপথ বেয়ে
শীতের মেঘলা দিনে ছেড়ে দার্জিলিং
কোলাহল শান্ত, শুধু গুম্ফার ডং ডিং ঘন্টাধ্বনি বাজে
আর তুহিন বাতাসে ভাসে তুষার ও হিম, সুরেখা
আমি ও নিখিল শুধু রহে গেছি মুনলাইট গ্রোভে
স্টোভে শুধু কেটলির সোঁ সোঁ শব্দ নীলগিরি কফি
টেবিলে স্টিল লাইফ ওল্ড মঙ্ক রামের বোতল
ফায়ার প্লেসের কাঁপা কাঠের আগুনে কাঁপছে
হাইলাইট বোতল ও গ্লাস
সাপঘুম ইচ্ছে করে দীর্ঘবেলা ধরে, চলো তবে
পরস্পর তিনজনে শুই - আমি ও নিখিলের মধ্যে
স্যান্ডউইচ সুরেখা সান্যাল
এরকমই শর্ত ছিল আমাদের - আছে , বা থাকবে
ঘুমের ভেতরে হবে বৃষ্টিপাত, তুষার ঝরবে ফার
পাইনের বনের ওপর - তুহিন শীতের রাত ক্রমান্বয়ে
আরো হিম হবে, আর
আচম্ববিতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি কেউ নেই নিখিল
বা সুরেখা সান্যাল, শুধু জং
বাহাদুর কফির পেয়ালা হাতে, আর ডিং ডং
ঘণ্টার শব্দ শুধু ভেসে আসছে তিব্বতী গোম্ফার,
ব্যস আর কেউ নেই, কিছু নেই শুধুই তুষার, শুধু
ধূ ধূ প্রান্তরে বনের কেবলই তুষার ঝরছে, শুধুই তুষার
শুধুই তুষার ঝরছে - তুষার রায়
ASIT KUMAR ROY 1 সপ্তাহ 10 ঘন্টা আগে
আলোর রেখা ধরে ধরে এসেছি
অনেকটা শ্রান্ত বেশ কিছুটা তৃষ্ণার্ত
পায়ে লেগে আছে ধুলো
পোশাকের আস্তরনে কিছু চোরকাঁটা
এখানে এত নির্জনতা
শুধু একটা লন্ঠনের আলোয় কেমন রহস্য
মনে হচ্ছে এখানে একটু আগে কেউ ছিল
এখন আর কেউ নেই...
কোথায় যেন উবে গেছে কর্পূরের মতন।
ঐযে হাতে বোনা পদ্মাসনে উষ্ণতা লেগে আছে
চিরুনিতে আটকে আছে সুগন্ধি কেশ
ওরা সব কোথায় গেল
প্রশ্নের কোন উত্তর নেই
চমকে দিল ম্যাপল গাছের পাতা ঝরা
স্বচ্ছ স্তব্ধ সরোবরের ঢেউ যেন ছুটে দিল পাড়ে
অশ্রুত কিছু শব্দ এলোমেলো কানে আসে
একত্রিত করে তর্জমায় বুঝি
"ওরা আজ আর কেউ এখানে থাকেনা
এখানকার সময় স্তব্ধ হয়ে গেছ অনন্তের জন্য।
শুধু এই লণ্ঠন নিয়ে যাও
এই আলো এই আলোর কণা তোমারি জন্য
ওরা রেখে গেছে মেহফুজ শব্দরাশি ভাণ্ডার
তুমি যে আগামীর কবি।
নতুন মন্তব্য পাঠান