অতীতের দেনা
। অতীতের দেনা।
দুজনের দেখা হোক কেউই চাইতো না,
চাইবার অবশ্য কারণও ছিলো না,
কবেই ডিলিট সব সেভ করা চ্যাট
আর একদা আগলে রাখা জুটি-এ্যালবাম
‘ পিপল ইউ মে নো’ তে ফেসবুকে দেখবে না কেউ কারো নাম,
নম্বর মুখস্থ অভ্যাসবশতঃ,
তবে সবই করা আছে ব্লক,
প্রোপোজ-আদরদিন ইত্যাদি তিতকুটে তারিখ নিছক,
মোটকথা , একদা নিবিড় প্রেম
আজ ভালোবাসাহীন তীব্র বিরক্তিমাখা অনুতাপ শুধু,
যেরকম ওয়েসিস ভাবা
মোহমরীচিকা আদতে লুকিয়ে রাখে মরুভূমি ধুধু,
সেরকমই অনুভূতি এনে দেয় নাম নিলে কেউ,
ভালোবাসা একটুও ছিলো কি আদৌ,
সে ভাবনা কুরে খায় দুটো মনকেই মাঝে মাঝে,
সুতরাং দেখা হওয়া প্ল্যানে ছিলো না যে!
অথচ হোটেলটাতে চেক ইন করতে গিয়ে
হয়ে গেলো সে একদা-জুটি মুখোমুখি..
দুজনের সাথে ‘ প্লাস ওয়ান’ ,
যে সাথীর সাথে তারা আপাতত সুখী।
যে যার বুকিং খুঁজে চলে গেলো হোটেলের ঘর,
সৌভাগ্য দুজনেরই,
এক ফ্লোরে নয় সেটা,
বর্তমানের বুকে দেওয়াটা সহজ ছিলো স্মৃতিকে কবর,
কিন্তু.. যা সরল ও সোজা ,
সেটা কদাচিৎ ঘটে পৃথিবীতে,
মগজ এমন কেন, পারবে কে সে জবাব দিতে!
সারাদিনমান ঘরের ভেতর আর বাইরের নিভৃতি-সুযোগে,
শরীরের ছোঁয়াছুঁয়ি বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক
ছুটিতে তো সে কারণে আসা।
তবু যে সেদিন কেন মন তাতে সঙ্গত দিচ্ছে না ঠিক,
দুজনেই বোঝে না ,
এমন মোটেই নয় পরস্পরকে মনে পড়ছে তাদের,
আশ্লেষ-আবাহনে তবু পায় টের,
যে আনন্দ-সরগমে বেজে ওঠে শরীরের গ্রন্থিরা অনঙ্গ-উত্তাপ পেলে,
আজ সেই কোরাস বেসুরো,
আশ্লেষ কিছুতেই পারছে না ছুঁতে চেনা স্বপ্নের চুড়ো,
অবশেষে দুটো পৃথক হোটেলঘরে
বহু দূরে যাওয়া দুটো মন শরীর সরিয়ে নেয় সঙ্গীর থেকে,
নিজস্ব প্রেমেদের বুকে মুখ রেখে,
ফিসফিস করে বলে, ‘আজ থাক, ভালো লাগছে না’
কারণটা সঙ্গীরা বোঝে কি বোঝে না বলা দুষ্কর,
তবে কেউ প্রশ্ন করে না,
করলেও জবাব কী হতো সেটা কেউই জানে না।
ভালোবাসা?
উঁহু তা না,
জীবন করছে শোধ অতীতের দেনা।
আর্যতীর্থ
- আর্যতীর্থ-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 219
m.c. 6 দিন 7 মি আগে
Well said
তপতী 5 দিন 23 ঘন্টা আগে
ভাল লাগল আর্যতীর্থদা
পৃথা 4 দিন 20 ঘন্টা আগে
অবশ্যই ভালোলাগা থাকল আর্যতীর্থদা
মধুছন্দা 4 দিন 20 ঘন্টা আগে
‘একদা নিবিড় প্রেম
আজ ভালোবাসাহীন তীব্র বিরক্তিমাখা অনুতাপ শুধু’
আলাদা করে ক্যোট করতেই হল
খুব ভাল লিখেছেন আর্যদা
নতুন মন্তব্য পাঠান