একখানা গীতঃ জলের পরিসীমা

Hope and Fear comes together.
Water feels that you are not dead
It is about to touch you
Fragmenting itself
…………Akherul Hoque
একখানা গীতঃ জলের পরিসীমা
**********************
একপাশে এক ফোঁটা জল
আর এক পাশে মহা সমুদ্দর
মধ্যিখানে আমি,
শিরে নড়ে ডাব
ছুঁয়েদেখা জলের স্বভাব
যতটুকু জানি
বৃষ্টির রাত
ধুয়ে গেছে হাত
ভিজে গেছে গামছাখানি,
শুঁয়োপোকা কানে
বিড়াল লুকায় মনে
জানা মেলে বুদ্ধিখানি
বজ্রের আলো
গৃহ চমকালো
দুয়ারে গড়ায় পানি,
শব্দের ভয়
সর্বদা রয়
বধির নই বলে জানি
রাস্তায় স্রোত
আমাদের ক্রোধ
মানুষ হাজারখানি,
উজ্জীবিত মাছ
লাফিয়েছে আজ
ভুল হলো এমনি
কাঠবিড়ালির ভয়
ধান ডুবে যায়
কী হবে ভুখা পেটখানি,
নাগমামা ছুটে
ডাঙা কোথা আছে
কোথা রে নাগিনী
আমাদের সম্বল
সেলাইন রক্ত জলবোতল
কিডনি দু’খানি,
বাজার তরমুজ
আর আছে খাঁটি জুস
পাড়ার দোকানি
খেয়ে নিই জল
ফেলে দিবো তাও জল
ভুলে যাবো জলখানি,
যখন একা রবে
দিল্ দরিয়া হবে
চকচক করে ভাবনাখানি
বরফের সাদা
নেই কোনো বাধা
আঁখিতে ছুঁই হাতখানি,
শ্বাসবায়ু ভাসে
জলীও বাতাসে
অতীত অস্তগামী
সন্ধ্যার বেলা
দুধ পাশা খেলা
ও রমণী,
যত যাতনা ভোগ
অর্ধশোক হোক
বাকি জিনদেগানী
আখেরুল হক
- আখেরুল হক-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 404

অনি 26 সপ্তাহ 6 দিন আগে
অদ্ভুত ভালো প্রত্যেকটি লাইন
kalyan 26 সপ্তাহ 6 দিন আগে
উপভোগ করে পড়বার মতো, উপভোগ করলাম
হলুদ 26 সপ্তাহ 6 দিন আগে
অনবদ্য
বীথি 26 সপ্তাহ 6 দিন আগে
ইংরাজি উদ্ধৃতিটিসহ কবিতাটিতে অনেক ভালোলাগা থাকল
রুদ্র 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
"Hope and Fear comes together.
Water feels that you are not dead
It is about to touch you
Fragmenting itself"
এটাতেই চোখ আটকে ছিল অনেকক্ষণ
চোখ নয়, মন
রুদ্র 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
আপনার স্টাইল আর কনটেন্ট কিভাবে বর্ণনা করি?
এ তো ইউনিক, পড়তে পড়তে নিজেকেই ফ্রেশ লাগে, মন বলে, আরো চাই আরো চাই
পৃথা 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
আরো কয়েকবার পড়ব
পৃথা 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
চিন্তনের অন্য স্তরে আপনি নিয়ে গিয়েছেন
আখেরুল হক 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
সকলকে ধন্যবাদ জানাই যিনারা কবিতা পাঠ করেছেন
এবং মন্তব্য করেছেন। সব ভাবনা একই রকমভাবে
প্রকাশ করা যায় না । তাই কবিতা বিভিন্ন রকম হয়ে উঠতে চায়।
এটা আমার বিশ্বাস ॥
ঝর্না 26 সপ্তাহ 4 দিন আগে
এমন ভাবে শুরু। ভীষণ ভালো লাগলো পড়তে।
ASIT KUMAR ROY 26 সপ্তাহ 3 দিন আগে
ভাবনার স্তরে স্তরে
জানিনা নাকি মন্তরে
ফুটে গেল কাননে পদ্মগুলি।
তবু পথ চলি
ফেলে রেখে কানাগলি
রাজপথ জুড়ে কলকাকলি।
ঐ বুঝি কারা যায়
নিশ্চিত আলোর ঠিকানায়
ছন্ধে ছন্দে গায় আনন্দগান।
গুরু গুরু গম্ভীরে
নিনাদ ছড়িয়ে পড়ে
চারিধার মুখরিত সংকীর্তন।
বাঁশি বুঝি বাজে
অন্তর প্রান্তর মাঝে
সুরে সুরে অহরহ প্রেম ঝরে।
গুঞ্জে গুঞ্জে অলি
পাপড়ি মেলে কথাকলি
উদার আকাশের দৃষ্টি না সরে।
দিনে দিনে কালবেলা
শুরু না হতেই শেষ খেলা
নিজ দরবারে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ।
কারো নেই কোন দায়
মেয়েবেলায় লাশ পুড়ে যায়
দেশে আছে সুশাসন দুঃশাসন দুর্যোধন।
আকাশের নিচে ওরা কারা
আলো আনবার মুখ ওরা।
সকালের রোদ্দুর তবু কেন অবহেলা্য।
ওরা জাগে আর জাগায়
রাত্রি দখলে সাহস যোগায়
টুকরো আশা জড়ো করে মশাল জ্বালায়।
নদী তবু বয়ে যায়
রাজা রানী জেগে ঘুমায়
বেদমন্ত্র উৎসবে মিথ্যে আলোড়ন।
মাটি কামড়ে ওরা
আলোর দিশারী যারা
আলো হাতে জাগরণ সত্য উচ্চারণ।
এ আমার মন্তব্য ...
আখেরুল হক 26 সপ্তাহ 3 দিন আগে
অসিত বাবু ,,অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার লিখাটি কোনো মন্তব্য নয় ,বরং একটা জলজ্যান্ত
কবিতা ; যার শিরোনাম রাখলাম “আনন্দ কীর্তন ”
যদি আপনার পছন্দ হয় , মুক্তমঞ্চে ছাপতে পারেন কবিতাখানা॥
হিয়া রাজা 26 সপ্তাহ 3 দিন আগে
আখেরুল, খুব ভাল লাগলো, ভারি সুন্দর উপস্থাপনা, মন ছুঁয়ে গেল !
আর অসিত আপনার মন্তব্য নিজেই এক অত্যন্ত মনোগ্রাহী কবিতা, সেও খুব ভাল লাগলো।
নতুন মন্তব্য পাঠান