বিপদজনক সংক্ষিপ্ত স্তবকের ঝোঁক

দীর্ঘ বাক্যে নয়
গদ্যের ছন্দে নয়
অতিকথন বিবর্জিত
পুনরায় ফিরে ফিরে আসা
আখ্যান,
চর্চিত প্রসঙ্গ
থেকে সরে গিয়ে
পুনরাবৃত্তির
বিরক্তি
ঔদাসীন্য,
নিস্পৃহ
কালো অন্ধকার
ত্যাগ করে
সাবলীল স্তবক কিছু
এঁকে নিতে বড় সাধ হয়।
মানুষ
অভ্যাসের দাশ ,
ফেনিয়ে ফেনিয়ে তোলা
বাক্যের অভ্যাস
কিছুতেই ছাড়ে না যে
নিজের বর্ণমালা
পিছে পিছে ঘোরে
শানিত প্রগলভতায়।
সামনে খানিকটা
আছে সময়
বাকি
জানি
অন্তত
থাকাই স্বাভাবিক
তবু কেন
পিছে ফিরে
ছোটো ছোটো
মুহূর্তের করি দরদাম
কে বা জানে
কি যে পরিনাম
কিবা ভবিতব্য
নিয়তি!
সমুদ্রের মতো
নয় অতো বড় কিছু
গভীর
চর্চিত
ইঙ্গিতময়
শিল্পে
সুষমামন্ডিত
তাৎপর্যপূর্ণ
কোনো মৎস্যধার নয়
জাদুঘর নয়
কিংবা বাগানে
ফোয়ারার তলায়
চৌবাচ্চায়
খেলে যে গোল্ডফিশ
তেমন অভিজাত কিছু নয়
এ সময়
আর এই মনে পড়া
সীমিত বড়োই
এক ফ্ল্যাটে রাখা
ফিশবৌল
একটি একাকী মৎস্যের
তিতিবিরক্ত
আনাগোনা।
স্বর্ণালী নিশ্চই
সেই মীন
এ পোষ্য মীন
সোনারবরণ
সপ্রতিভ এ স্মৃতি
বিভ্রম নয় জানি।
কিন্তু এই
সরল রেখায়
যাওয়া আর আসা
আবারো
উত্তর
আবারো দক্ষিণ
আগমন
প্রস্থান
বর্তমান
অতীত
ভবিতব্য
নিয়তি
করোটির ভিতর
তীব্র! তীব্র!
অসয্য ক্রোধ জন্মায়
আক্রোশ
অনুক্রোশ
একই একই
বৃত্তের ফাঁস
শ্বাস চেপে ধরে
জলের ভিতরে।
ঝুঁকি নিয়ে যদি
একটি
একটি
বাক্যে ভাবি
অর্বুদ ব্রহ্মান্ড
কেন্নোর মতো
গুটিয়ে গুটিয়ে থাকে
সংক্ষিপ্তে
এবং জনতা
স্বয়ংক্রিয়
বুঝে যাবে
আমার
চতুর বিন্যাসের
অভিসন্ধি
বুৎপত্তি
ব্যাকরণ যত
তবে যারা
হৃতসর্বস্ব
কোনো হঠকারি
মুহূর্তের লোভে
চিটফান্ডে ঢেলে
সমস্ত জীবনের সঞ্চয়
তারো চেয়ে
দুর্ভাগা আমি
যদি ভেবে থাকি
শব্দ
উচ্চারণ
আলোক
মরণ
স্থান
বিচরণ
স্মৃতি
আলেয়া
মুঠো ভরে
করে গেলে দান
ভাষার সোপান
হর্ম্য
জ্ঞান
ব্রহ্মাণ্ডে
অস্তিত্বের
কোনো ঋণ
কোনো দিনও
পরিশোধ হবে,
যেন এমন কিছু
এ ব্রহ্মান্ড
আমার কাছে
প্রত্যাশা করে!
আমার ক্ষয়িত
খর্বুটে
ক্লিন্ন অক্ষরমালা
আর আমার
গরবিনী
স্বর্ণালী মীন
বস্তুত প্রশ্নহীন
স্মৃতির পদানত
কুহকিনী
হ্লাদিনী
অসীমে
সীমিত
তুচ্ছ মুহূর্ত যত
যা আসলে আমি
ব্রহ্মান্ডের কাছে অর্থহীন
তুচ্ছাতিতুচ্ছ
আমার প্রত্যাশা
আমার অক্ষরের জীবনী
যেকোনো মানুষের
ইতিহাসের মতোই
কালের ফেনিল
তরঙ্গময় সৈকতে
বালুতে রেখে যাওয়া
নশ্বর পায়ের চিহ্ন
অসীমের
দর্পিত পদাঘাতে
মুহূর্তে মুহূর্তে
মিলিয়েই যায়
চিরবিস্মরণে
পক্ষপাতহীন
অনস্তিত্বে ।
- acharyyasankar-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 302

kalyan 32 সপ্তাহ 3 দিন আগে
ঝোঁক-টা মন্দ নয়, পড়তে চমকার লাগল
ASIT KUMAR ROY 32 সপ্তাহ 3 দিন আগে
অফুরান শব্দ ভাণ্ডার
এসো এসো কথা এসো এসো যত দুর্বার
যারা চলে গেল যারা যাবার
গেছে কালের অতলে পালা এবার তোমার।
শব্দের রান্নাঘরে পাঁচফোড়নে শব্দ পোড়ে
হয়তো সে নব ব্যঞ্জন গড়ে
রকে রকে শব্দ ছিল, এখনো মোড়ে মোড়ে
ভয়ের আবরনে নিত্য হোঁচটে ঘুরে মরে।
তুমি কি ছিলে রাত দখলের মিছিলে
ধ্বনি তুলেছিলে স্লোগান গলায় নিয়েছিলে
চলতে চলতে যে শব্দে প্রতিবাদ রচেছিলে
গান হয়ে গিয়েছিল তুমিও সে গেয়েছিলে।
শেষ পিতৃপক্ষ দেবীপক্ষের নব সুচনায়
আহা কি আনন্দ আলো এই আকাশময়
তবু কে যেন কাঁদে কাশবনের দোলায়
নির্বাক ধ্বনিতে বুঝি ওরা সব বিচার চাই।
রেহানা 32 সপ্তাহ 1 দিন আগে
চমৎকার লাগল
রেহানা 32 সপ্তাহ 1 দিন আগে
নতুনতর ফর্মের প্রচেষ্টা মনে হয় সবসময়ই স্বাগত
কাবেরী 32 সপ্তাহ 19 ঘন্টা আগে
"অতিকথন বিবর্জিত" ভালো লাগে বৈকি
m.c. 31 সপ্তাহ 6 দিন আগে
Superb
অনি 31 সপ্তাহ 6 দিন আগে
দারুণ
আর্বানমিশুকে 31 সপ্তাহ 6 দিন আগে
ওয়েল অ্যাপ্রেসিয়েটেড!
আর্বানমিশুকে 31 সপ্তাহ 6 দিন আগে
প্লিস কন্টিনিউ!
মধুছন্দা 30 সপ্তাহ 5 দিন আগে
এটি উপভোগ্য ঝোঁক, নিশ্চয়ই আরো লিখবেন আচার্যদা
নতুন মন্তব্য পাঠান