শূন্যতার এ পৃথিবী

শূন্যতার এ পৃথিবী
ধূসর হয়ে আসছে পৃথিবী
মেঘ ধেয়ে আসছে স্নায়ুজুড়ে
বৃক্ষ পল্লব তামাটে আর মাটির বিবর্ণ রূপ
ইটের আস্তরণে, ধূসর হয়ে আসছে জলবায়ু
ধুলোর অন্ধকারে এপাড়া ওপাড়া,
শন শন বাতাসের তাণ্ডব, বিতৃষ্ণার বাসনা ;
- এই পৃথিবীটা অনেক পুরনো
আমি সেই ছোটবেলা থেকে একে চিনি
মারস্ রোভার এর মত ছোট ছোট পদক্ষেপে চিনেছি
এর না জানা অলিগলি; এই পৃথিবীটা
অনেক পুরনো' নতুনেরা এর ভাষা বোঝেনা
হোঁচট খেয়ে পরে যায়, হাঁটতে চলতে' রক্তাক্ত হয়,
ঠেকেও শেখেনা
এই পৃথিবীটা অনেক পুরনো
আমি জানি এর বয়েস অনেক
আমি জানি এখানে ঘুটঘুটে সরু ক্যাভাস
এবং আরো অনেক বন্ধ গলি, পাহাড়ী
আঁকাবাঁকা পথ, কূকি' মারমা'দের প্রকোপ।
আমি জানি এ পৃথিবী আমার নয়
এ পৃথিবী তোমারও নয়, আমি জানি
এ পৃথিবী কখনো কারো ছিল না
না মেসিডোনিয়ান রাজার' না ক্রুশে বিধ্বস্ত যীশু' প্রজার,
এ পৃথিবী কারো হতে পারে না
না প্রিয়ার না প্রিয়তমার,
না পাদ্রি ফাদারের না নান' রমণী, আদারের,
এ পৃথিবী শূন্য একার, এই পৃথিবী শুধুই না দেখার
এ পৃথিবী চিৎকার' কান্নার' জলোচ্ছ্বাসের'
এই পৃথিবী এক তীব্র নাভিশ্বাসের,
এ পৃথিবীটা নিষ্ঠুর বৃদ্ধ তবু এর বয়স বাড়ে না
এ পৃথিবীটা স্যাটানিকতার ভাগাড়; "
ভীষণ ধূসর," তবুও কিছুটা পাবার
এ পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে ক্রমশ
ইনভারমেন্টালী ঘোলাটে হয়ে আসছে ক্রমশ,
নিতান্তই নতজানু হয়ে আসছে ক্রমশ
আমি কি পারবো এর পাশ কেটে বেরিয়ে যেতে ?
ক্ষুব্ধতায় বিবেকের কুড়ুল হাতে নিতে ?
কবিতায় শামসুরের মতো বেড়ী পরাতে ?
পারবো কি'
অবজেক্ট আর ভেরিয়েবলের সরাব ঘটাতে,
ধূসর হয়ে আসছে পৃথিবী,
এইতো'
কেউ যেন
আমায় বলে গেল কবিতাটি কমপ্লিট করতে
সে কি আর হয়,
এই পৃথিবী যতই শূন্যতা বয়ে আনুক
আমার শূন্য খাতা ভরে যাবে
হাওড়ের জলের মত' বিনা বাধায়।।
০৫/০৭/২০২৪
- Abeduzzaman chowdhury-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 405

ASIT KUMAR ROY 39 সপ্তাহ 3 দিন আগে
শামিম বলেছিল- সত্যি কথা পৃথিবীটা কি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।আমি প্রতিবাদ করেছিলাম তুই ঠিক বলছিস না।আমরা আমাদের মানসিকতার জন্য পাল্টে দিচ্ছি আর তুই বলছিস পৃথিবী পাল্টাচ্ছে। পৃথিবী হোল ঠিক মায়ের মতন একটু একটু করে কবে থেকে আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে আকাশ প্রান্তর নদী সমুদ্র অরন্য পাহাড়। আমরাই তাঁকে কেটেকুটে খনন করে পুড়িয়ে দিয়ে নিজেদের লোভের আগুন বাড়িয়ে ধ্বংস করছি দিনে দিনে। দেখিস না আমাদের নিজের বৃদ্ধ মা নিজের ঘরেই কেমন অবহেলিত।সামান্য দুটো খাওয়া পড়া জোটাতে তার সন্তানরা তাঁকে গঞ্জনা দেয়, নতুবা আবর্জনার মতন ছুঁড়ে ফেলে দেয় আস্তাকুড়ে। তবে কি জানিস দর্পণে যেমন নিজের মুখ নিজে দেখি ঠিক তেমনই আমরাও আমাদের সন্তান সন্ততিদের থেকে এমন ব্যবহারই পাব কথাটা যেন স্মরণ থাকে।
বাদ দে এসব কথা। শামিম, এত সক্কাল সক্কাল কোথায় চললি? একী উজ্জ্বল মুখটা কেন সজল হয়ে উঠল হটাত! দীপাঞ্জন তুই তুই আমার চোখ খুলে দিলি দীপাঞ্জন। আজই আমার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে যাচ্ছিলাম ।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে- খুব খুব ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমি নিজের ভুল নিজে বুঝতে পেরেছি। কান্নার সুরে শামিম বলে- আমার মা কিন্তু সরল মনেই বলেছিল তোমরা আমার সন্তান যা ভাল বুঝবে তাই করবে। তখন আমি মায়ের কথার অর্থ বুঝিনি। তুই আমার চোখ খুলে দিলে। এখনি বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো তুই কি আমার সাথে যাবি? চল শামিম আমিও তোর সাথে যাব। ঠিক তখুনি আকাশ থেকে ঝম ঝম করে দাবদহন থেকে মুক্তি দিতে অমৃতধারার মতন বৃষ্টি নামল। আমরা দুই বন্ধু এগিয়ে গেলাম আগামী জীবনের পথে।
m.c. 39 সপ্তাহ 2 দিন আগে
Soul touching
বীথি 39 সপ্তাহ 2 দিন আগে
অনেক ভালোলাগা থাকল
সৈয়দ মুনসিফ আলী 39 সপ্তাহ 2 দিন আগে
শূন্যতার এ পৃথিবী আপনার কবিতায় পূর্ণ হোক
ঝর্না 39 সপ্তাহ 1 দিন আগে
ভালোলাগলো...
নতুন মন্তব্য পাঠান