অনভিপ্রেত অধোগমন
snbaqui রবি, ২০২৪-০৪-২৮ ০৮:৩১
অর্থের পেছনে উন্মাদের মতো
ধাবমান প্রতিনিয়ত
নীতি-নৈতিকতা ক্রমান্বয়ে বিসর্জিত
স্বার্থ অন্বেষণে উন্মত্ততা
প্রকটরূপে উন্মোচিত
বিবেক জলাঞ্জলি সাপেক্ষে
মনুষ্যত্বহীন আবেগতাড়িত
আত্মকেন্দ্রিক বহুরূপী মুখোশধারী
বেওয়াফারূপে আবির্ভূত
সৌহার্দ্য সহানুভূতি বিবর্জিত হেথা
সর্বত্রই মানবতা ভূলুণ্ঠিত।
- snbaqui-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 134
এনা 31 সপ্তাহ 4 দিন আগে
m.c. 31 সপ্তাহ 4 দিন আগে
Negative thoughts
snbaqui 31 সপ্তাহ 4 দিন আগে
নেতিবাচক বিষয়গুলো অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত তাইতো পীড়াদায়ক তবে পৃথিবীতে ইতিবাচক কার্যক্রম যথেষ্ট পরিলক্ষিত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
রুল্লা 31 সপ্তাহ 4 দিন আগে
অর্থের পেছনে - এই শব্দবন্ধ বোধহয় অধুনা পৃথিবীর ফালক্রাম
যাই হোক, এই শব্দবন্ধই আপনার একটি পূর্বের কবিতা মনে পড়িয়ে দিল, সেটি এরকম
অর্থের পেছনে শুশুকের মতো
প্লাবনী, ফোকলোর ফেলে এসে নাগরিক
তাকে আর চিনতে পারিনা
সেলশিয়াসের প্রত্যক্ষ আগুন আর
ডলারের মন্দ্রধ্বনি ডুবে গেলে
প্লাবনীর উনিশতলায়, আবছা হলুদ
মন্থরে গোপন কান্নার ন্যায় তার
কাঁকই খুঁজে দেখে অলক-সাগরে
ফেলে আসা পুরুষের হাতের হিজল -
তনু অন্বেষণের প্রথম উন্মত্ততার জলছাপ
রুল্লা 31 সপ্তাহ 4 দিন আগে
স্মৃতিজাগানিয়া আপনার লেখনী, "বেওয়াফারূপে আবির্ভূত", জাগালো স্মৃতিতে আরো একটি -
বেওয়াফারূপে ফেটে যায় কমলার খোসা
হাওয়ার আস্তিনে কী ভ্রম রেখেছে বিগতচারিণী
কী যে বাকী আছে, বাকী জানে
বাকী লিখে রাখে পৃথিবীর তাবত অদ্ভুত
য়াফায় সিক্ত রাত, য়াফায় বেও হেসে ওঠে
হেসে ওঠে চন্দ্রমা, রক্তিম, তির্যক
হেলবা কি হেলবা না, এইভেবে বেওয়াফা-
বেওয়াফা খুঁড়ে ফেলে স্নায়ুমঞ্জিল - -
তবুও বেহদ য়দ সইয়া বলে, স্থির থাকে নিজ
হিজিবিজিনিকেতনে, যায়না অপরাপর পাতায়
বিচিত্র বিতানে হেসে ওঠে নুরুনুরু মাসাজবালিকা
সে তো জানে বেওয়াফা তনয়ের মৃদুগাঢ় মানে -
snbaqui 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
জ্ঞানের পরিধি আরো বিস্তৃত করলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
শাহনূর 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
হ্যালো বাকী ভাই, অনেকদিন পড়ে আপনাকে দেখে ভাললাগলো। এখনো পদ্মা পারে আছেন? আমি আজকাল মাঝে মাঝে ইউ টিউবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের ভিডিও দেখি। সেগুলোতে রাজবাড়ীর ভুমিকাও আসে। পদ্মার অন্য পারে আমার নানুবাড়ী দাদুবাড়ী ছিলো, সেখানে আমার অনেক বাল্যকাল কিশোর বেলা কেটেছে। অথচ রাজবাড়ীর ব্যাপারে তেমন কিছুই জানা ছিলোনা। এখন রাজবাড়ীর কথা দেখলেই আপনার কথা মনে হয়। আমার স্মৃতি শক্তি ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে আজকাল, যদ্দুর মনে পড়ে আপনি রাজবাড়ীতে ছিলেন এবং আছেন। আশাকরি ভালো আছেন।
লিখুন, আরো কবিতা লিখুন। পদ্মাকে নিয়ে আসুন আপনার ভাবনা ধারায়, মনেপ্রাণে এই কামনা করছি। আপনার এই কবিতাটাতে আপনার স্বাক্ষর আছে। সেটা জানি ভেবে বেশ লাগলো আপনার এই কবিতাটা। অন্যদের কমেন্টগুলোও ভালোলাগলো! অনেক শুভকামনা রইলো।
snbaqui 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
পদ্মা নদী নিঃসন্দেহে রাজবাড়ি জেলার ঐতিহ্য।
দক্ষিণ পাড়ে রাজবাড়ি ও উত্তর পাড়ে পাবনা জেলা অবস্থিত।
কালের বিবর্তনে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে চলেছে।
স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা সমূহ পরবর্তীতে আলোচনা করার ইচ্ছে পোষণ করি।
শুভকামনা রইলো।
শাহনূর 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
@বাকী ভাই,
লিখেছেন, "স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা সমূহ পরবর্তীতে আলোচনা করার ইচ্ছে পোষণ করি।"। আমিতো ভাই উচ্চকিত হলাম আপনার এই বাক্যটা পড়ে। লিখুন, লিখুন, যতো তাড়াতাড়ি পারেন লিখুন, আমি কবে চলে যাই ভাই সেটা জানা নাই। সাধারণত এই মঞ্চে একমাত্র ইন্দ্রনীল ছাড়া অনেকেই তাঁদের নিজস্ব পরিবেশটাকে তেমন করে লেখেন না। অথচ মনে মনে আমার জানতে ইচ্ছা হয় খুব। আপনি আপনার ঘটনা গুলো লিখুন, অন্ততঃ একজন পাঠক পাবেন কথা দিলাম।
তখনকার দিনে মুন্সিগ্নজ লঞ্চ ঘাট থেকে দিঘিরপার যেতে দশ মাইল পথে কোনো রাস্তা ঘাট ছিলো না। নৌকা করে যেতাম মা'য়ের সাথে ! জোয়ার ভাটার ঝামেলায় মাঝে মাঝে নৌকা বন্ধ হয়ে যেতো বিভিন্ন ঘাটে। সেখানে গ্রামীণ মেয়েদের নাচ গান শুনেছি এবং দেখেছি। সেই সব চিত্র গুলো এখনো মাঝে মাঝে আমাকে জাগিয়ে দেয়। যেমন ধরুন এই গানটা, (সম্পূর্ণটা আমার শ্যাওলা ভরা স্মৃতি থেকে)
"সাপের মাথার মণি লইয়া মোরা
করি যে কারবার।
এক ঘাটেতে রান্ধি-বাড়ি মোরা
আরেক ঘাটে খাই,
মোদের ঘরো বাড়ি নাই;
সব দুনিয়া বাড়ি মোদের
সকল মানুষ ভাই;
মোরা, সেই ভায়েরে তালাশ করি আইজ
ফিরি দ্বারে দ্বার,
বাবু সেলাম বারে বার।
ও বাবু সেলাম বারে বার,
আমার নাম গো গয়া বাইদ্যা বাবু,
বাড়ি পদ্মার পার।"
আপনার লেখাটা বা লেখাগুলো এমন কিছু হতে হবে সেটা আমি অবশ্যই প্রতাশা করিনা। আপনি আপনার ঘটনার কথা গদ্য পদ্য মিশিয়ে যেমন করে পারেন তেমন করেই লিখুন প্লিজ! আপনার স্কুলের কথা, ছাত্র ছাত্রীদের কথা লিখতেও ভুলবেন না । যে কোনো একজন মানুষের (বিশেষ করে একজন কবির এবং মানুষ গড়ার কারিগরের) অন্তরে অনেক অভিজ্ঞতা তাজমহল হয়ে লুকিয়ে থাকে, সেগুলো আপনি উদ্ভাসিত করুন। দেখবেন আপনি শান্তি পাবেন। যদি মঞ্চে লিখতে কোনরকম অসুবিধা হয়, তাহলে আমাকে ই-মেইল করতে পারেন। আমার ইমেইল প্রথম পার্ট mahmed55. ২য় পার্ট, @জিমেইল, লাস্ট পার্ট ডট কম!
আল্লাহ্ হাফেজ ...
শাহনূর 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
"প্লাবনী, ফোকলোর ফেলে এসে নাগরিক
তাকে আর চিনতে পারিনা
সেলশিয়াসের প্রত্যক্ষ আগুন আর
ডলারের মন্দ্রধ্বনি ডুবে গেলে
প্লাবনীর উনিশতলায়, আবছা হলুদ
মন্থরে গোপন কান্নার ন্যায় তার
কাঁকই খুঁজে দেখে অলক-সাগরে
ফেলে আসা পুরুষের হাতের হিজল -
তনু অন্বেষণের প্রথম উন্মত্ততার জলছাপ ..."
আররে, আমিতো হারাইয়া গেলাম এই কবিতায়। জানতে ইচ্ছা হয় এই কবিতা কে লিখেছেন। আহা আহা শ্রাবণী প্লাবনী আর তার ডলার সেলশিয়াস, এই আপনি কি সুক্তো (নাকি শুক্তো) রান্না করতে গিয়ে ব্যালকনিতে শালিখের উড়ে যাওয়া দেখে কোথায় কোথায় হারিয়ে যান? খাদ্যটা পুড়ে যায়? প্রেসার কুকার গাড়ল সিটি বাজিয়ে আপনাকে আকাশ থেকে শীতল ইটালিয়ান আর্কিটেকচার্ড টাইলে নামিয়ে আনে? ...
এ আমি কাহার কথা পড়লাম ? বাই দি ওয়ে, ওটা কি পুরুষের না হয়ে পর পুরুষের হাতের হিজল হবে? কিজানি কিজানি কবি কাকে কী লিখেছেন! তবে এই কবির আরো কিছু লেখা আমার পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে। আহা একেই বলে কিনা "মুক্তমঞ্চ" !
শাহনূর 31 সপ্তাহ 3 দিন আগে
"হেসে ওঠে চন্দ্রমা, রক্তিম, তির্যক
হেলবা কি হেলবা না, এইভেবে বেওয়াফা-
বেওয়াফা খুঁড়ে ফেলে স্নায়ুমঞ্জিল - -"
মনে হল খুব সম্ভব এবার বুঝতে পারলাম উৎসটা কোথায়। তবে আগের প্লাবনির কবির কাছ থেকে আরো এমন অনেক কবিতা চাই আমি। অসম্পূর্ণ বা যে কোনো কবিতার মন্তব্যের ঘরে হলেও আপত্তি নাই!
নতুন মন্তব্য পাঠান