আগুন হও

রক্তিম
আগুন হও
- (রক্তিম)
সব ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে
কি করে ছেড়ে যাই সুদূরে
ওরা যে ভীষণ আপন রক্তের এবং আত্মার
ওরা এখনও অবুঝ সবুজ
তাই প্রতি পদে করে ভুল।
সেই কবেই ছেড়ে এসেছি প্রস্তরযুগ
পাথরে পাথরে ঘষে আগুন দিন
চোখে মুখে বিস্ময় ঝড় দাবানল আর সুনামি
লড়েছি মরেছি আবার জিতেছি
একটু একটু সাম্রাজ্য গড়েছি।
তবু ছেড়ে যেতে হবে সেই মাটিতে
এত কিসের মান অপমান ঈর্ষা হিংসা
কিছুইতো নিয়ে আসিনি কিছুই সঙ্গে যাবেনা।
তবু মায়া মমতা চোখের জল অযথা
ভেঙে যাচ্ছে একে একে নদীর পাড়।
পাথুরে দেয়ালে আঁকা অহংকারী ম্যমথ
চোখে চোখ রেখে বলছে এসো ছবি হও
সাদা কালো ফ্রেমের ভিতর কবিতার মত ছবি হও
পূজা পাবে ধূপ ধুনোয় টাটকা বাসি ফুলে
ছেড়ে দাও রাজ্যপাট বসন ছুঁড়ে আগুন হও।
ASIT KUMAR ROY 45 সপ্তাহ 2 দিন আগে
দূরবীন দেখলেই পিসীর কথা মনে পড়ে।সবসময়ের জন্য মুক্তমালার মতন উজ্জ্বল মুখ তাঁর।সমস্যা নিয়ে গেলাম। পিসী তখন গাছের পরিচর্যা করছে। মাধবীলতা খুব পছন্দের। আমায় দেখে বলল কুলুঙ্গির ভিতর নববর্ষের হালখাতা কার্ডটা নিয়ে আয়। আনামাত্র জাদুমন্ত্রের মত কাগজের চারকোণা কেটে একটা পাখা বানিয়ে হেসে বলল এটাইতো চেয়েছিলি।বন্ধুদের তাক লাগিয়ে বলবি আমার পিসী সব পারে।এখনও জানিনা কি করে মনের কথা পিসী বুঝে নিত।
এইতো সেদিন গেছিলাম শরীর খারাপ বিছানায় শয্যাশায়ী। বললাম কেমন আছো। অনেকক্ষন মুখের দিকে চেয়ে আছে যেন চিনতে পারছেনা। যেন সাতসমদ্দুর ঘুরে আমায় কষ্ট করে চেনার চেষ্টা। চকিতে মুখে যেন আলো খেলে গেল। ও কৃষ্ণ এলি কিছুতেই আমাকে ক্রিশ বলে ডাকবেনা। প্রমিলার চোখে যেন জল চিক চিক করছে ওত সুন্দর কোঁকড়ানো চুল কেটে দিয়েছে।কেমন যেন নিভু নিভু পোশাক পড়ানো হয়েছে। অসুস্থ স্বরে বলে উঠলো শুনছো কে আছো কৃষ্ণকে কিছু খেতে দাও, আমাকে চুপি চুপি বলল আমাকে ওরা খেতে দেয়না। তুই আমায় কলকাতা নিয়ে যাবি! কি বলব ভেবে না পেয়ে বললাম চলো আমার সাথে।শুনে হতাস চোখ মুছে মুখ ঘুরিয়ে আবার শুয়ে পড়ল বিছানায় মনে হয় ভীষণ অভিমান।
শিবুকে বলে এসেছিলাম কেমন থাকে পিসী খবর দিতে। না আজো কোন চিঠিতে কোন খবর আসেনি।
অনি 45 সপ্তাহ 22 ঘন্টা আগে
"পাথুরে দেয়ালে আঁকা অহংকারী ম্যমথ
চোখে চোখ রেখে বলছে এসো ছবি হও
সাদা কালো ফ্রেমের ভিতর কবিতার মত ছবি হও
পূজা পাবে ধূপ ধুনোয় টাটকা বাসি ফুলে
ছেড়ে দাও রাজ্যপাট বসন ছুঁড়ে আগুন হও।"
অসামান্য বলেছেন
নতুন মন্তব্য পাঠান