দাসবাবু দিন না একটা বিড়ি

আপনার ওখানে ঝড় উঠেছে দাস বাবু ?
আমাদেরও চাল উড়ে গেছে ,ছেলে খেতে দেয় না
মেয়েদের মুখগুলো বিবর্তিত হয়ে গেছে
আগে সেইখানে ক্ষয়ে যাওয়া একটা বাগান ছিল
গালিচার মত নরম প্রস্রবন
বসলে মন ভালো হয়ে যেত |
ঝড় উঠলে ছাদে যেতে হয়, কেমন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব
ওপরটা জার্মানি সমতলটা হাঙ্গেরী
দলে পিষে ক্ষমতার কি দম্ভ , বাম হাতে চেপে ধরি
ডান হাতের উদ্যত পেশিগুলোকে,
আমি আর ছেলে ছেলে আর আমি,মধ্যে ঢাল তলোয়ার
আর দুটো প্রদেশের খাওয়া খাওয়ি
চিরুনী না চেনাবার ঝালটা মোক্ষম উগরে দিই !
কতদিন আমরা রেলগাড়ি চড়ি না
ছেলে বলেছে মাস পয়লায় মাংস খাওয়াবে
এখানে ঝড় উঠলে আমরা
উন্মাদ হয়ে যাই ঘর ভেঙে যাওয়ার ভয়ে
জার্মান টাইলসের তকতকে পাথর মেঝেতে
খুব করে একদিন নিজেকে দেখে আসবো কেমন ?
আমার শখের আয়না চুরুট সব ওর দখলে
তিনভাগ বয়সে নাকি চিরুনি ছোঁয়াতে নেই
বুফের আগুণে ওরা দশটা মুরগীকে
চুটকি বাজিয়ে রোস্ট বানিয়ে খেল, খেল দেশের দশের কোর্মা করে ,দেখলাম খসা হাড়ের ভেতর থেকে কেমন
চোঁওওওওও করে টেনে নিতে হয় মজ্জা ! শিখে নিলাম !
মাস পয়লার আর কতদিন বাকি দাস বাবু ---- ?
মল্লিকা রায়/Mallika Roy.
- মল্লিকা রায়-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 240

মল্লিকা রায় 45 সপ্তাহ 3 দিন আগে
কি জানি ভুল কিছু লিখলাম না কি ? মাঝে মাঝে এসব ছাইপাশও লিখতে হয়। ভীষণভাবে ভাব আড়ি খেলা চলে অস্তিত্বের। কি অদ্ভুত রকম নিরর্থক হয়ে ওঠে সমস্ত এ সংকট এনে দাঁড় করায় বিচিত্র অবস্থানে। জানিনা সকলেরই এমন হয় না কি। কত বিচিত্র মানুষ,কত তার বেঁচে থাকবার কিম্ভুত বহি:প্রকাশ।
ঝর্না 45 সপ্তাহ 2 দিন আগে
খুব ভালো লিখেছেন মল্লিকা।
এমন একটা লিখতে পারলে নিজেকে খুব লাকি মনে হত।
ভীষণ রকম হটকে লেখা। অসংখ্য ক্ল্যাপস।
নতুন মন্তব্য পাঠান