গোপন কথা

- অসিত কুমার রায় (রক্তিম)
তাওতো বল্লেনা, আরও কিছু বাকি রয়ে গেল।
ভিক্টোরিয়ায় জোনাকি জ্বলা কুয়াশা মোড়া চাদরে,
অস্ফুট স্বরের আলো অন্ধকারে।
মুখোমুখি বসে আরব্য রজনীর অনাবিল গল্পে,
আমরা জাহাজ কেনা বেচা করতাম।
জানিনা কোন আগ্রহ নিয়ে ঠিক তখুনি
ভিক্টোরিয়ার পরী নেমে আসতো।
নীরবে পাশে বসে থাকত
রাজ্যের তৃষা ছিল যেন তাঁর মুখমণ্ডলে।
একদিন সেদিন আকাশে চাঁদ ওঠেনি
তুমি আমি ময়দান পার হয়ে যাচ্ছি ।
হাতের আঙুলে আঙুল রেখে
তুমি খোলা গলায় গান গায়ছিলে;
যার গানে তুমি অবলীলায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলো।
মাঝ ময়দানে আকাশ থেকে তারা খসে পড়ল;
তাই দেখে তুমি দুচোখ বুজে ফেলে,
কি যেন বলতে শুরু করলে...এক নাগাড়ে;
আশে পাশে তখন কেউ ছিলনা...
কমলা ঠোঁটের তীব্র আকর্ষণ এড়াতে পারলাম না।
ঠিক তখুনি ফেরিওয়ালা হেঁকে উঠল
-হাতে গরম চিনে বাদাম আছে... লাগলে বলবেন?
প্রিন্সেপঘাটের নৌকার মাঝি হেসে বলেছিল,
দেখবেন মাঝগঙ্গা থেকে সূর্যাস্ত
আর ব্যস্ত শহরে রাত্রি নেমে আসা... দুইই একসাথে।
তীব্র কৌতূহলে চলে গেলাম এক্কেবারে মাঝগঙ্গায়।
তোমার মৃদু আপত্তি ছিল -সময়মত ফিরতে পারব?
গঙ্গার জোয়ারে সে সাবধানতা হারিয়ে গেল।
সেদিন সত্যিই আমরা ফিরতে পারিনি... ঘরে
ঘরে ফিরব বললেইতো আর ঘরে ফেরা যায়না
দুজনেই যে ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছি,
শুধু, শহীদ মিনার জানতো আমাদের সেই গোপন কথা।
শাহনূর 2 সপ্তাহ 20 ঘন্টা আগে
"আশে পাশে তখন কেউ ছিলনা...
কমলা ঠোঁটের তীব্র আকর্ষণ এড়াতে পারলাম না।
ঠিক তখুনি ফেরিওয়ালা হেঁকে উঠল
-হাতে গরম চিনে বাদাম আছে... লাগলে বলবেন?"
মুগ্ধ হলাম!
শাহনূর 2 সপ্তাহ 20 ঘন্টা আগে
"গঙ্গার জোয়ারে সে সাবধানতা হারিয়ে গেল।
সেদিন সত্যিই আমরা ফিরতে পারিনি... ঘরে
ঘরে ফিরব বললেইতো আর ঘরে ফেরা যায়না
দুজনেই যে ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছি,
শুধু, শহীদ মিনার জানতো আমাদের সেই গোপন কথা।"
মনেহল যেন একটা সিনেমার রিল ঘুরে যাচ্ছে, কেয়াবাত, কেয়াবাত! কুর্ণিশ, বন্ধুবর, তোমাকে অনেক কুর্ণিশ!
আহা, "ঘরে ফিরব বললেইতো আর ঘরে ফেরা যায়না"! আমিতো ঘরে বসে মনে মনে গঙ্গায় একটা মোহিনী সন্ধ্যা কাটিয়ে এলাম! বেশ চিত্রময় এই কবিতা! আমার কাছে খুব রোমান্টিক মনে হল।
আরে ভাই, রোমান্সের কথা যখন উঠলোই, তাহলে হাওড়া ব্রিজের কাছে কী হবে ভেবেছিলাম সেটা বরং বলেই দেই,
"কফিকাপে কিছু দারুচিনি মেশালেই যদি সেটা দ্বীপ হয়ে যায়,
চায়ের কাপে দার্জিলিং টি দিলেই যদি ঘরে মেঘ ঢুকে যায়,
কাঞ্চন ফুলে সূর্যের রশ্মিতে যদি কারো অস্বচ্ছ জঙ্ঘা আলোকিতা হয়ে ওঠে,
---
---
আমি যেতে চাই তোমার সাথে তোমার শহরটাতে,
হোক না হয় সেটা হাওড়া ব্রিজের তলা, একদিন কোনোদিন
আড়ালে আড়ালে আমি তোমাকে রোমান্স কাকে বলে দেখিয়ে দেবো,
তুমি দেখবে তোমার শহরটা এলোমেলো হয়ে গেছে এখানে সেখানে ……
সেই সন্ধ্যায় রজনীগন্ধায়
একদিন, কোনদিন ………… যদি একদিন
সত্যি কফিকাপে দারুচিনি দ্বীপ ভেসে আসে …
অথবা চন্দ্রালোক গলে যায় অতি কাছে কারো কাঞ্চনজঙ্ঘায় !"
এই একটু আগে শিশিরের লেখায় একটা ছত্র পড়লাম, "মন খারাপের পদাবলী কেউ পড়েনা"। সেটা পড়ে আমার বেদনা হল, আররে, আমার মন খারাপের পদাবলীও তো কেউ পড়েনা, তারপর তোমার কবিতাটা পড়ে ইচ্ছে হল এখানেই যদি নির্লজ্জ ভাবে কিছুটা ক্যোট করে না দেই, তাহলে আমার এই লেখাটা তুমিও পড়বে না। এই লেখাটার শিরোনাম "কফিকাপে দারুচিনি দ্বীপ"। মুক্তমঞ্চে আমি নিজেই সহজে কিছু লেখা খুঁজে পাইনা, তুমিও খুব সম্ভব পাবেনা, তবে বাংলা কবিতার আসরে পাবে। যদি ইচ্ছা হয় সেখানে পড়ে নিও। অবশ্য তুমি মন্তব্য দাওনা বলে আমি আজকাল সেখানে মাস্টার লক লাগিয়ে দিয়েছি, মন্তব্যের ঘরে "প্রবেশ নিষেধ"!
শাহনূর 1 সপ্তাহ 6 দিন আগে
"তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই, কতই কী চাই--
দিনের শেষে ঘরে এসে লজ্জা যে পাই ॥
সে-সব চাওয়া সুখে দুখে ভেসে বেড়ায় কেবল মুখে,
গভীর বুকে
যে চাওয়াটি গোপন তাহার কথা যে নাই ॥"
ঘুরে ঘুরে তোমার দ্বারে ফিরে আসি "আজনবী বন'কে"। আজনবী অর্থটা আমি সঠিক জানিনা, ধরে নেই "দেউলিয়া" বা "আন দেশী অচেনা অজানা', অমন একটা কিছু। সেটা যাই হোক, গত মন্তব্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ব্যাপারটা উল্লেখ করতে ভুলে গেছলাম। মনে পড়লো "An angel is watching" আর অনেক যুগ আগে একাকী একাকী ঘুরে আসা গড়ের মাঠের চিত্র, সেটা এখনো অক্ষত আছে কিনা জানা নেই।
তুমি কী এখনো নিথর হয়ে থাকবে? কিজানি, কিজানি!
খায়রুল আহসান 1 সপ্তাহ 6 দিন আগে
বাহ! চমৎকার!
ভালবাসা ভালবাসি....
নতুন মন্তব্য পাঠান