আবোল তাবোল - ঝড়ের সেরেনেইড

কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের প্রেইরিতে আজ নাকি খুব ঝড় উঠবে
আমার কেন যেন মনেহল ওই হাডসন বে’র নাগালে হয়তো বা
কেউ বাস করলেও করতে পারে। তাঁকে কিভাবে জানিয়ে দেই
সেই অশনি সংকেত ? তার টেলিফোন জানা নেই তাই
কি করে বলবো তাকে
ব্যালকনি থেকে কেউ যেন মাইল মাইল তৃণভূমির দিকে বিষণ্ণ আঁখি নিয়ে
তাকিয়ে না থাকে। বরং স্লাইডিং ডোরটা বন্ধ করে গ্রানাইটের বুকে
পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে বাকি অশ্রুটা পেঁয়াজের ঝাঁজের ওপরে
চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে ঢেকে ঢুকে রাখে। সে কি এখন সুস্বাদু
তেলেভাঁজা ডালের বড়া বানাতে শিখেছে? আহা নাকি ছোলে ভাটুরে?
কি জানি, কি জানি, কতদিন ধরে কেউ যেন দুরূহ দূরত্ব থেকে
এখনো কাউকে টেনে রাখতে চায় প্রবীণা প্রেমজ ফিতের বাঁধন দিয়ে,
এটা আমার জানতে ইচ্ছে হয়
সেই জনের উত্তর সীমান্তে কি রাতে অরোরা বোরিয়ালিস উতল
ঢেউ দ্যাখা যায়? কেউ কি তখন দু হাত উপরে তুলে আকাশটা
ছুঁয়ে দিতে চায়? নির্জন প্রান্তরে ব্যালে বা কথাকলি নৃত্য করে?
নাকি প্রেইরির দীঘল ঘাসে সর্বস্ব চোরকাঁটা বিঁধিয়ে নিয়ে
ঘাসের ভেতরে ঘাস হয়ে শুয়ে থেকে আঁচলের ঢেউ দিয়ে বাতাসকে ভালবাসতে চায়!
এই শোনো, আমার মনে হচ্ছে তোমাদের ওখানে আজ প্রবল ঝড় হবে,
তুমি যদি ম্যানিটোবা প্রভিন্সের কোথাও থাকো, অথবা এই পৃথিবীর
যে কোনো প্রান্তে থাকো, ব্যালকনি ছেঁড়ে অন্দরে যেও,
দরজা জানালা কপাট সব বন্ধ করে পুরোনো গ্রামফোনের স্টাইলাসটার
ধার পরীক্ষা করতে গিয়ে আনমনা ফের আঙুল ফুঁটিয়ে এক ফোঁটা রক্ত না চুষে
বরং শুনে নিও, “এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও এমন কিছু গান আছে”
“Somewhere, my love there will be songs to sing” *
======================================================
* https://www.youtube.com/watch?v=QG_Pf4bMaCY
- শাহনূর-এর অন্যান্য কবিতাপাতা
- এই পাতাটির ক্লিকসংখ্যা 207

অনি 2 সপ্তাহ 4 দিন আগে
সীমাহীন মুগ্ধতা থাকল কবি
খায়রুল আহসান 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
”কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের প্রেইরিতে আজ নাকি খুব ঝড় উঠবে” - হায় হায়, তাই নাকি? এই তো মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে ম্যানিটোবা প্রদেশের উইনিপেগ, ব্র্যান্ডন আর পোরটেজ ডি লে প্রেইরি শহরগুলো। সেসব দৃশ্যাবলী এখনও স্মৃতিতে সমুজ্জ্বল।
অসম্ভব সুন্দর একটি প্রেমের কবিতা লিখেছেন।
ভালবাসা ভালবাসি....
শাহনূর 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
আহসান ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যথারীতি এই লেখাটা আমার উদ্ভট একটা কল্পনা মাত্র। মধ্য বয়সে আমি উইনিপেগ হয়ে হাডসন বে'তে দু তিনবার গিয়েছি, বেশি উত্তরে যাইনি কোনোদিন, ওখান থেকে প্লেনে করে চার্চিল গেলে হয়তো আরোরার রশ্মি দেখলেও দেখতে পারতাম। সেখানে নাকি বছরে ৩০০ দিন সেই রশ্মি দেখা যায়। কিন্তু চিরদিন একটা "ভীতুর ডিম"। তাই সেই Northern Lights এর বিস্ময়কর নৃত্য দেখা হয়নি। সেই ছেলেবেলা থেকে বিভূতি বাবুর অপুর গল্প পড়ে (যেখানে স্কুলে তাকে অরোরা বোরিয়ালিস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো) সেখান থেকে এই জিনিসটা কল্পনা করে গিয়েছি, এখনো করছি, এবং বাকি দিন গুলোতেও অবশ্যই করবো। এই লেখাটার বাকি সব হাবিজাবি গাঁজাখুরি কথন !
নতুন মন্তব্য পাঠান