আমায় শিখিয়ে দাও

- অসিত কুমার রায় (রক্তিম)
আমি যে কারোর কাছে যেতে পারিনা।
অর্থাৎ কারোর সবুজ পাতায় গিয়ে
ভালো মন্দের অনুভব ব্যক্ত করতে শিখিনি।
শুধু প্রবেশ করতে পারি ঠিক অভিমন্যুর মতন
তারপর
একটা একটা করে দরজা অতিক্রম করি
এক একটা মহারথীর সাথে চলে প্রচণ্ড লড়াই
ক্ষত বিক্ষত হতে হতে ঢলে পড়ি পশ্চিমে...
ঠিক অস্তগামী সূর্যের মতন নিশ্ছিদ্র রাতের অন্ধকারে।
আমার বন্ধু শাহনুর সঙ্কেত দিয়েছিল
মন্ত্রগুপ্তি শিখিয়েছিল। সিংহদুয়ারে প্রবেশ করবার।
আমার অন্তরাত্মার অহংকার বশত ভেবে নিয়েছিল
পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি সেই অমুল্যরত্নের সন্ধান;
আমিই সেই একম আদি অবিনশ্বর এক মানব।
তাই চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালতে পারি অনায়াসে
কিন্তু নেভানোর কৌশল আমি আয়ত্ত করতে পারিনি।
ভুল করেছি ভুল। মারাত্মক এক ভুল করেছি।
ফুল ভেবে কাঁটার আঘাতে আঘাতে হয়েছি ক্লান্ত।
আমায় কেউ কি শিখিয়ে দেবে
অন্যের কিশলয় সবুজে কেমন করে যাওয়া যায়।
আমি ভীষণভাবে সারাজীবন তার কাছে থাকব ঋণী।
আমার বন্ধু হয়তো অভিমান করেছে।
তা করুক অভিমান তার সাজে
সেতো সেই আমারই মতন চিরকালীন অভিমানী।
আমি চাই দ্রোণাচার্য হয়ে কেউ আসুক
আমি দীক্ষা নেব তারই কাছে।
শাহনূর 2 সপ্তাহ 5 দিন আগে
কেন ভাই তুমি এমন কবিতা লেখো? আমার মন খুব ধূসর হয়ে যায়! আমার কষ্ট হয়। সম্পর্ক কি ভাবে ধরে রাখতে হয় সেটা আমি শিখিনি। না, আমি কোনো অভিমান করিনি, অন্তত তোমার ওপরেতো নয়ই। কেন অভিমান করবো তোমার ওপরে? জানতে অজান্তে আমি অনেক কিছু পেয়েছি তুমি এবং তোমার মতন আরো দু একজনের কাছে, এগুলো আমার নির্বাসিত জীবনের শেষ বয়সে সব হীরে পান্না, সেগুলোর ওপরে কি কখনো রাগ দুঃখ অভিমান করা যায়? তুমিই বল? কথা হচ্ছে, আমাদের অনেকেই এমন এক চক্রবুহ্যের ভেতরে নিজে থেকেই প্রবেশ করেছি যে সেখান থেকে বের হবার কোনো দরজা জানালা নেই, অথবা এমন করেও ভাবা যেতে পারে যে আমাদের কেউ কেউ হারিয়ে থাকতে ভালোবাসে, ধারালো বাণে বিদ্ধ হতে ভালোবাসে, নিজেকে দুঃখ দিতে ভালবাসে, অথচ বুঝতে পারেনা বা বুঝতে চায়না যে এতে আশেপাশের অন্যদেরও তারা অনেক দুঃখ দেয়। আমি যদি কোনক্রমে ভুল করে হলেও তোমাকে কোনো দুঃখ দিয়ে থাকি, আমি সত্যি নিজেই খুব দুঃখিত, এবং ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
শেষ করছি তোমার আমার একজনের শেষ কবিতা থেকে, যেটা নাকি উনি লিখে যেতে পারেননি, মৃত্যু শয্যায় মুখে বলে গেছলেন ...
"তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে,
হে ছলনাময়ী।
মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে
সরল জীবনে ..."
ওনাকে কি আমরা আমাদের "দ্রোণাচার্য" ভেবে নিতে পারি না? না?
শাহনূর 2 সপ্তাহ 5 দিন আগে
কবিতাটা অবশ্য খুব সুন্দর লিখেছো। কিছু রেফারেন্স না দিলেও এটা একটা খুব সুন্দর লেখা হতো, সর্বজনীন অবশ্যই, এটা আমার ধারণা। ভালো থেকো, মনেপ্রাণে এই কামনা করছি।
যদি,
"কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে, বসন্তবাতাসে"
আমার কথা মনে আসে, তাহলে ইমেইল দিও, mahmed55 এ্যাট জিমেইল কম, অতি ক্ষুদ্র মেইল হলেও কোনো ক্ষতি নেই ... তাতেও
"ঝরা" মেপল পাতার "কান্না ব্যথিবে আকাশ" ...............
না দিলেও অভিমান করবো না, আগেই বলে দিলাম!
Asit k roy 2 সপ্তাহ 4 দিন আগে
ঠিক আছে তাই হবে।
খায়রুল আহসান 2 সপ্তাহ 3 দিন আগে
কবিতার সমাপ্তিটা চমৎকার হয়েছে!
ভালবাসা ভালবাসি....
নতুন মন্তব্য পাঠান