এইখানে এইবার তারে ক'ষে ধরো,
“চুক্তি-মেয়াদ শেষ হলে দাবি ছেড়ে দিতে হবে
কেবল আমি’র কারণে এত উল্লাস ক’রো না
নিশি তারা সুস্থির থাকে দিবালোকের বাস্তবে
খাল কেটে কুমির আনে উভমৌখিক তাড়না”
নিরুদ্ধ নিঃশ্বাসে উন্মুল উদ্বাস্তুর
জীবনের সাথে সুরম্য সংসার
কত যুগ আগে পৃথিবীর সামান্য বাতাসে
বিধুর বেদনার ঋতু কৃদন্ত প্রতিবেশ গড়েছিল ?
কোনো রকমে সবকিছু পাবার আশ্বাসে
নাভিঃশ্বাস হৃদয় ধীরে ধীরে অস্থির হয়ে উঠেছিল ?
যখন ইমারত নির্মাণবিদ্যা শিল্পকলায় পর্যবসিত
অর্থশক্তি পূজারী, সন্তানের সাথে রক্ত প্রসব করে
"আরও উষ্ণতর হয়না কেন পেয়ালার শেষ চুমুক !"
আবাহন ও বিসর্জনের এক সুতো সিদ্ধান্তে
আকন্ঠ প্রতিনিয়ত সুরাপান ও আত্মহনন
একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ জেনেও
মহাকবির কন্ঠনালি গুরুচন্ডালী ছুরিকাঘাত এড়াতে চায় ...
নিজের চিরাচরিত সত্তা থেকে অনেক দূরে
রজনীগন্ধা ব্যথায় সে ভাসমান….
অজানা এক অন্য রূপে
অন্য কোনো লোক-লোকান্তরে
"আমার পথের উপর এসে পড়েছে
নীলাভ ধুসর ছায়া, থেকে থেকে
তবু কোকিলের শিসে মনে পড়েছে
বহুদিনের পুরোনো অথচ জ্বলজ্বলে হীরে বিকেলে…"
হাতের উপর নিঃসঙ্গ হাত
আর দারুন চোখের মরীচিকা মায়া
মিশে আছে বাতাসে রজনীগন্ধার শেষ সুরভি
বিদায়ী বিকেলের শেষ নিঃশ্বাসে…
সে এই আছে, আতশ বিজলিতে এই নেই
তাঁর অনুক্ষণ প্রাত্যহিক জীবনের পলক্ষয়
সর্বজয়ীর স্রাবিত নিষিদ্ধ প্রলয়োল্লাস
জলোত্থিত কোমল প্রাণের নিতম্বঢেউ নৃত্যে
কিন্তু যেদিকে চোখ তোলে, হা-মুখ হয়ে যায়
“আকাশ'কে বলেছিলাম
একটু কম কাছে আসতে
যেন ওকে ভালো ক'রে দেখতে পারি
অথচ কি এক অর্বাচীন লোভে
আমিই ওর অলিন্দে বসবাস ক'রতে শুরু করেছি...”
দুর্নিবার্য দেহঘাতী মেডুসার কাল চাহুনিতে
নির্বাণকালের মরণোন্মুখ মোমের দুঃখিত রৌশনাই
দুলে দুলে অন্তিমে শুধু শেষ হতে থাকে
কারিগরী স্বপ্নবাজ আদমের পাথর-প্রতিম অবয়ব…
ফিনিক্সদেহী আত্মঘাতীর অসীম পৌনঃপুনিক
আরও আরও পঙ্গপাল ফিনিক্স
তার মৃদঙকান্তি’রে সৌম্য গম্ভীর পাষাণ দেবতার অভিশাপে
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সভ্যে ও অসভ্যে পৃথক করে দেয়
জান্তে কিংবা অজান্তে জয় পরাজয়ের আশা ছেড়ে
শুধু সে আত্মযুদ্ধে উদ্ভিন্ন উদ্দাম স্বক্রিয়,
মহাসমুদ্রের অন্ধকার তলদেশে ঠাই শুয়ে সে ভাবে,
"প্রস্তরদেবতার, প্রেমের অবারিত প্রান্তরে জাগে
বাসন্তী শাড়ির সহস্রতম কুঁচি
ক্ষীর চুমুতে সিঁথির একাকীত্ব গেলে ঘুচে
নিরর্থক আত্ম-প্রতিকৃতির অনাকাঙ্খিত দাগ মুছি…”
__________________________________________________________
আপনার শপিং লিষ্টে ভাবি একটা ফানুস আঁকা বৃদ্ধ মানুষ,
আমার পুরোনো ওয়ালেট জুড়ে আছে দেড় ইঞ্চি দেড় ইঞ্চি এম্পটি
না-বলা কিছু উদ্ভাসিত প্রেম আর কিছু ব্ল্যাঙ্ক স্পেস,
ওতে একদিন খুব স্লিম চাঁদের মতো হাসি ফালি
কৃপণ বিলম্বিত লয়ে
ভিন দেশে যাবার সাদা কালো
ভিসাহীন পাসপোর্ট উড়ুক্কু ছবির ফ্রেম ছিলো, আহা সে কেমন
রঙহীন দুর্ধর্ষ ফাগুন, এখনো আগুন ধরায়, ন্যাপথালিন ঘ্রাণময়
প্লাস্টিক খোলসের তলে।
আমার লিষ্টে আছে একটা নদীর মতন নারীর বায়না করা কবিতার বই,
একটা জীবন, যেখানে বিকিকিনি হয় গোপন শ্রাবণ,
আমিতো এখনো আপনার দীঘি ঘুরে আসি সঙ্গোপনে
তার আদ্র মসৃণ স্বচ্ছ মসলিন সারফেস স্পর্শ করে দেই,
প্রগাঢ় গাঢ় আবর্তনে তার জোনাকি ‘বাজুবন্দ’ স্যরি পিঠবন্দ ‘খুলে খুলে যায়’ সেই
হ্রদের কিনারে
অপ্রকাশিত বইয়ের মেলায়। এইবার এই আগমন বৃথা গ্যালো, না হয় হবেই দেখা আর বার
অন্যকোনো গ্রহের বাজারে, মোমাভ্র মিনারে
বাজিবে আপনার বীণা, আমার স্টলে ……
এ পৃথিবীতে দৃশ্যতঃ বেবুনেরা আছে
তবু আমি হীন ভাবি মালাবদল করব মানবীর সাথে
মানবের আদালতে বিকারগ্রস্ত গিয়ে দাঁড়াব
ফাটা আইনের বাঁশে খাবো বেদম মদিরা
আর আকাশের ঝুরো মেঘ ঝরে গেলে সুদূর বনানীপ্রান্তে
যেখানে কাহারো কুটির অনিমেখ চেয়ে থাকে
দুপুরের ঝোঁকে সুসিদ্ধ হয়ে এলে ভাত
মনে হয় এ জনমে শেখা হলোনা মগজের ভাষা
অথবা ভাষারই বিবিধ রতন ....
তবুও অবশেষে ম্রিয় রোদ্দুর চেটেপুটে খাই
রিদয়ের তলদেশ খুঁড়ে যে টেরাকোটা পাই, তার জাজিমে
দেখি লেখা আছে মৃত্যুর শতেক রহস্য গাথা
বায়ুর ভিতরে যেমন ভেসে থাকে পরমাণু, অলেখা কবিতারা ...
লতিফ, তবুও লেট নই, তবুও রূপসী বেবুনেরা
রূপবান সুঠাম বেবুন নরম নাভির সমান রূপকথা থেকে
হেঁটে আসে, এ পৃথিবী এখনও কাঠের নয়, পাথরেরও
আজব মাংস আজ ছেয়ে আছে সব চরাচরে ....
কখনও পৃথিবীতে বিমর্ষ বাতায়ন ছিল?
বিদেহী আনন্দ নিয়ে ক্রমাগত কুয়াশায় ফোটে ওঠে ফুল
মৃত বিড়ালকে ঘিরে পাখিদের এই উৎসব
আর সারারাত, ব্রু হবে হিম কফি, ভোরে উঠে
পান করবে ধীরে, খুব ধীরে
যেভাবে আরক্তিম ঠোঁট ছুঁয়ে দেখে চুম্বন গাছ, কার্তিকের শেষে
মনোরম মানুষেরা তোমাকে ভালোবেসেছিল
হে রমণী ধীবর
অথবা বলেনি নিরুচ্চারে, ক্রিস্টালের ভিতর দিয়ে আলো গেলে
যেভাবে বিচ্ছুরণ বেড়ে যায়, তোমার কিরণ দেখে
জোছোনা সরে গেছে ঈষৎ পাশে, মধ্যমা থেকে আংটি খুলে রেখে
তোমার এই ঘুমঘোর, সম্বৎসর যে চিঠি ভেবেছি লিখবো
দ্রুতগণিতের শেষে দেখি এ পৃথিবীতে শুধু শামুকের খোল
বিষাদ কি বুঝেছো কখনও তেমন তুমি, যেভাবে নিভৃত কবির
পঞ্জরে অস্থিমজ্জায় আঁকা তোমার ন্যুড চারকোল ....
একা পেলে কেউ যদি ফের দুর্দান্ত ঝড় হয়ে ওঠে
প্রত্যাশা বাগানে,
ঝাউ বনে বালুকা বেলায় কবেকার সেই নির্জন
মণিহারী বিপণী দ্রব্য সব খুলে নেয় দস্যুর মতো
একবার গিরির মুখে দেশলাই যদি জ্বলে ওঠে
গন্ধক ছুঁয়ে দেয় অঘ্রান ফলসা ঘ্রাণ আকুল বেকুল
শতেক হাজার মেহগিনি এস্রাজ দাউ দাউ জোৎস্না ছড়ায়,
যদি কেউ তাতে অলীক স্নান করে বিধৌত হয়ে এসে
মিনে করা মিনারের গায়ে রিং টোন বাজাতে চায়
তুমি কী তাহলে এখনো খুলে দেবে তোমার প্রাসাদ?
বালুচরি পাতাটা খুলেই দ্যাখোনা একবার
সেটাতে কী লেখা আছে?
পাতি মাদক ব্যবসায়ীর মতো বারবার ধরা খাই, জেলে যাই। তিন মাস, ছয় মাস, এমনকি লাগাতার দুই-তিন বছর জেল কাটি। পুলিশের 'স্টিমরোলার' আর জিরো টলারেন্স ক্রসফায়ারের ভয়ে তওবা করি, আল্লারে ডাকি। আর মনে মনে ভাবি, এবার মুক্তি পেলে ধ্যানে যাবো_বৌদ্ধ হবো। উয়াইস করনি পাগলের মতো পাগল হবো তবু তোমার কাছে যাবো না।
মুক্তি পেতেই সব পথ এক হয়ে যায় তোমার বাড়ির পথে_গালিবের পায়ে আমি সেই পথে হামাগুড়ি দিয়ে তোমার কাছেই যাই...
ছ্যাঁকা পেলে বুঝি গরম ভাবটা
আগুনে আগুন গ্রীষ্ম
ধোঁকা খেলে পরে ওই পথে নেই
প্রাণপণ পণ ভীষ্ম!
ঠকে ঠকে বাড়ে অনুভব তাই
জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সাচ্চা
গলে যাই তবু মোমের মতোই
দিল হ্যায় তো জী বাচ্চা!!
যে অস্থির
তাকে ধরো না।
আর যে গম্ভীর
তাকেও কিছু বলো না।
যে প্রেম পায় নি
তাকে নতুন করে দুঃখ দিও না
যে ভালবেসেছে
তাকে বলো-তুমি সফল হয়েছ,
পৃথিবীতে
এর চেয়ে বড় সফলতা
আর হয় না।
পাঠিকা ১৬
আপনার কবিতা টুকে রাখি
টুকে রাখি সমস্ত দেওয়া লিঙ্ক ও অনেক গল্পকথা
এভাবে টুকতে টুকতে একদিন আমার খাতার পাতা ভরে যায়
আর কবিতারা নানা নামকরণে এসে
টুকিটুকি খেলে
যদিও অসাধারণ এ বিদ্যায় পরম ফেল আমি
টুকিয়ে হোক বা গুটিয়ে নিতে গিয়ে বুঝতেই পারিনা
মুঠোর ভেতরে আসা যা কিছু স্থায়ী নয়
তারাও ছুটি চায়, অ-নে-ক-টা স্পেস
কন্ট্রোল অল্টার ডিলিট অবশেষে
যার হদিশ পাওয়া যায় না…
পাঠিকা ১৭
হারাবো বললেই হলো
দেখুন কেমন করে গুছোনো আছে সব
পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু কবিতা
আরো খুঁজলে কত কত নাম
What’s in a name?
ঠিক এটাই এখন
ভাবছেন তো!
পাঠিকা ১৮
আপনি লিখলেই কেল্লা ফতে
আর না লিখলে মনখারাপ…
কোথাও বলিনি এ কথা
পাছে ভাবনার ভুল হয়
কবিতা মাত্রই ভালোবাসব
কাছে রাখব অনন্ত কাল
তেমনই অপেক্ষা নতুন সৃষ্টির
ভালো থাকুন, প্রিয় কবি
নিজের স্বার্থে নিজেই ভাঙো
নিজের গড়া নিয়ম,
ভাবছো শাসন করবে টা কে
আছেও এমন কওম?
চোখটা উল্টে মিথ্যে বলো
দেখাও দম্ভ গর্ব,
ভাবো এমন কেই-বা আছে
করবে তোমায় খর্ব?
রেখো মনে আল্লাহ পারেন
সব কিছুটাই চূর্ণ,
জাহান্নাম টা জ্বিন মানুষেই
তিনিই করবেন পূর্ণ।
২২/০৩/২০২৩
চট্টগ্রাম।