hiya-এর কবিতাপাতা  |  নিজস্ব তালিকা  

ব্যথা – ধুধু বালুচরে হারানো নদীর বুকে হাল ভাঙা –
নৌকার কঙ্কাল দেখে নিস্,
প্রেম – রাধু বোষ্টমীর চোখে, সন্ধ্যের পরে রাসমন্দিরে
মুছে নেওয়া জল মেখে নিস !
ভালোবাসা, কেউ বুঝি লিখেছিল মন জানালায় –

সত্যের জন্যে নাকি সবকিছু ত্যাগ করা যায়,
কিন্তু কোনও কিছুর জন্যে, সত্যকে ত্যাগ করা যায়না !
আমি তো সত্য, মিথ্যা, ত্যাগকে নিজের রঙে রাঙিয়ে,
নিজের সাথে জল-কুমির খেললাম কতকাল !
পৃথিবী আমার চারদিকে,

দশদিক ছুঁয়ে বসে আছো - দাবানল
ছককাটা বাঘবন্দী সময়ের - প্রতিবন্ধী দৌড়
রক্তে মরুৎ এসে চুপি চুপি বলে যায়-
থাকবে না - বয়ে যাবে সব, সব
আকাশের মত উদার হতেই হবে -
আমাদের, তোমাদের, তাহাদের সব -

ভাঙা আলসের ধার বেয়ে, যেখানে জলের দাগ শেষ,
কোনোদিন ফিরে, সেখানে যাওনা বুঝি, বেশ !
বেশ ভাল ! সেখানে দুঃখের দেশ, কি লাভ মেখে,
চাপা অন্ধকারে - যত
কালচে সবুজ দিন ঝুলে থাকে

গা ডোবানো রোদের মতো টুকরো কথা,
রাখ দাওয়াতে পান্তাভাতে পুরান ব্যাথা
গা মেলেছি ভালোবাসার মাদুর পাতা
কাঠবেড়ালী হঠাৎ পেলি খাসনি মাথা -
দুইটি শালিক, কে কার মালিক ভীষণ খুশি

মাটি ছুঁয়ে, এই সব বর্নহীন স্মৃতির আসনে, বসে থাকে আমার হৃদয় -,
নির্নিমেষ বেলা বাড়ে, বেলা বেড়ে যায়,
স্নায়ু ছুঁয়ে মগ্ন আয়ু, স্থির, পূর্নকাম, অজর অব্যয় !!

বুকে হাত দাও, ছুঁয়ে দেখো, কি রকম বাঁচি -

ফুল পাতা, ললিত লবঙ্গ লতা, কিশোরীর স্তন, কালিদহ পার,
এইসব লিখি টিখি, গুরুদেব দেয়ালেতে, কবির নিটোল সংসার !
অতঃপর, ঝোলে ও অম্বলে
লাল বিপ্লবের মাছি বিলিতি স্কচে দীর্ঘজীবী হয়ে,

এখানে আর কোনো সংশয়ই নেই, জেনো
ঐখানে বরফের প্রাচীর, শক্ত কাঠ, মরা পাইনের কান্ড,
ডাস্টবিনে মরে কাঠ কাঠবিড়ালির উর্ধমুখী লেজ
মহাজাগতিক অবিনশ্বর ভান - আমিত্বকে ভেংচি কাটে,

বহুদিন হলো, একটা ফাটাফাটি কবিতার চেষ্টায় আছি, কবিতার আবার আছেটা কি?
দেখো, তোমরা, একদিন ফাটাফাটি কবিতার ব্যাপারটা ঠিক নামিয়ে ফেলবো,

দ্যূতক্রীড়া শব্দ চতুর্দিকে, বুকজ্বলা চোঁয়া ঢেকুরের যত বেশরম হাওয়া,
সব হাতে সবজান্তা গামছা সব ঘোরে !
প্রেম হবে, একদিন গেলাসের টুংটাং, আলো ছায়া ভেঙেচুরে,
নিয়মিত তোলা তোলে বাদামি নেকড়ে !