hiya-এর কবিতাপাতা  |  নিজস্ব তালিকা  

ছড়ানো মায়ার মায়া
ধূপছায়া ভালোবাসা মন্দবাসা সব্বনাশা নেশা
জ্বলে যাওয়া আগুনের দাগে
লেখা আছে আমার সৃষ্টির ইতিহাস
বেনীআসহকলা সহ অসহ অজস্র রাগে ও অনুরাগে
জীবনের মহামন্ত্র

যখন যেমন এসেছো, বেসেছি পাগল পাগল ভালো
লুকোচুরি খেলা শুধু সারাবেলা
দেখেও না দেখা নাকি অবহেলা
বেকার দু বেলা পার করে এসে যখন সময় হলো
বেড়া ভেঙে এসে তোমায় ছোঁবার
ভালোবাসি এইটুকু বলবার

এখানে মানুষ মাপে মানুষের সাধ্যের জল
রসাতল
উঠে আসে বুকের ওপর দিয়ে ছলকিয়ে যায়
অসাধ্যের ঘাড় নাড়া কষ্টার্জিত ধৈর্য্য - যত উপার্জন
অযুত রক্ত নিস্ফল
কেন যে কে জানে কেন তবুও তো জলে জলে লেখা হয়

তোমার প্রান্তর জুড়ে না দেখা অসীম
অযুত অমৃত নিরাময়,
ইন্দ্রিয়ে বিছিয়ে রেখেছো আঘ্রাণ,
চেতনে বেপথু সময় !

আশ্চর্য অন্বয়ে জাগে অদ্ভুত মৌন উৎসবমুখর
এক অসম্ভব তেরো বিলিয়ন আবর্ষের দীপাবলী রাত,

বস্তুত জলছাপ, কিছু আধভেজা বোকার মতো
কাত হয়ে পড়ে থাকা পথ আর
দু চারটে আধমরা নাছোড়বান্দা ঘাসের মৃদু সমাহার,
এই মাত্র‍-
তবুও জীবন এক অঢেল উৎসবের ফক্কিকারি চালু অঙ্গীকার !

দেখা হলে কখনও,
জাস্ট কথার কথা,
আমার স্বপ্নের মত সহজ থেকো, কেমন, চারুলতা !
ওষ্ঠ নয়, ঠোঁটের ওপর দিকে
লিখে রেখো লুকোনো গল্পকথা, বিজলি ঝলকের মত টুকরো বাতুলতা,
আর দেখা হলে বাতাসের ঘরে,

এখন অনেক রাতে তোমার গল্প আসে,
কাছাকাছি, কেমন জড়িয়ে মুড়িয়ে ছিলে আষ্টেপৃষ্টে,
সমস্ত দিন,
কেমন মন খারাপের মন ভালো করার গল্প হও,
চুপচাপ বৃষ্টি হও, নিরুদ্দেশ মেঘ বেয়ে - দিকশূন্যপুরে,
অপেক্ষায় ,

খবরের কাগজ গুলো
এখন ওখান থেকে টেনে, ঝেড়েজুড়ে,
টেবিলের নিচে আর আলমারির তাক থেকে টেনে নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে,
রদ্দিওয়ালার পাল্লায় তুলে দিচ্ছিলাম, জানো!

রদ্দিওয়ালা হেসে পয়সা বাড়াতেই,

অল্প কথার গল্পগাথা নকশি কথার মাঠ
ছেলেখেলার বিষম নেশায় শিকেয় তুলে পাঠ
বাতাস আঁকে হাওয়ার হাওয়ায় তুলির বেবাক টান
ভুলভুলানো হাওয়ায় সাথে একছুটে পিট্‌টান !

মনের আবার এখন তখন মন তো যখন আকাশ

মন ভালো নেই ‍-
মন ভালো নেই দুখিরামের সুখীর মেলায়
কখন কোথায় হারিয়ে গেছে অবহেলায়
সুখের কড়ি জাদুর ছড়ি ধুলো খেলায়,
দিনের শেষে জমলো কিছু মাটির ঢেলা !

মন ভালো নেই -